অনলাইন ডেস্ক, ৩০ জুন।। টেনিস সুপারস্টার নোভাক জকোভিচের ফুটবল প্রীতি নতুন নয়। কেবল কোর্টেই সময় কাটে না তার, প্রায় বেরিয়ে পড়েন ফুটবল ম্যাচ দেখতে। প্রিয় ক্লাবের তালিকায় আছে এসি মিলান। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ তার খুব কাছের বন্ধু।
জকোভিচ যখন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে মেলবোর্নে গিয়ে আটক হন, তখন তার পক্ষে বেশ সরব ছিলেন মিলানের সুইডিশ স্ট্রাইকার। জকোভিচের ফুটবল প্রীতি কেমন তার সাম্প্রতিক এক উদাহরণ দেওয়া যাক। গত মে মাসে সার্বিয়ান তারকাকে দেখা গেছে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর প্রেসিডেন্সিয়াল বক্সে। রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যকার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল উপভোগ করেছেন তিনি।
মাদ্রিদ ওপেন খেলতে স্পেনের রাজধানীতে গেলে লা লিগার খেলা দেখার সুযোগ হাতছাড়া করেন না ৩৫ বছর বয়সী তারকা। এমনটা দেখে হয়তো আপনি ভাববেন, জকোভিচের প্রিয় ক্লাব মিলান নয়; হৃদয়ে তিনি মাদ্রিদিস্তা। অবশ্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও রয়েছে ২০ গ্র্যান্ড স্লামের মালিকের পছন্দের তালিকায়।
দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদাল ও অ্যান্ডি মারের মতো জকোভিচও ছোটবেলা থেকে ফুটবলের প্রতি বেশ আগ্রহী। এমনকি টেনিসের বাইরে চিত্তবিনোদনের জন্য সতীর্থদের সঙ্গে ফুটবলেও মেতে ওঠেন জকোভিচ। বিশ্ব সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচেও দেখা গেছে তাকে।
টেনিস খেলোয়াড় হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও ছোটবেলা থেকে ফুটবলে পায়েও যথেষ্ট সময় কেটেছে জকোভিচের। ‘জোকার’-এর ভাষায়, ‘যখন ছোট ছিলাম, আমি সব সময় ফুটবল খেলতে চাইতাম। অবশ্যই টেনিসের প্রতি আকাঙ্ক্ষা ছিল বেশি। তাই টেনিস খেলা শুরু করেছিলাম। বাড়িতে আমি সব সময় ফুটবল খেলা দেখতাম।
আমি ফুটবল সমর্থন করি। এটা আমার প্রিয় খেলা’। বর্তমানে উইম্বলডন খেলতে লন্ডনে আছেন কেভিন। আগামীকাল সেন্টার কোর্টে তৃতীয় রাউন্ডে তিনি মুখোমুখি হবেন তার স্বদেশি মিহির কেচমানোবিচের।