স্কিল ডেভেলপমেন্ট দপ্তর থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের শংসাপত্র প্রদান করলেন মন্ত্ৰী সান্ত্বনা চাকমা

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৩০ জুন।। রাজ্যে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রোজগার সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজ্যব্যাপী গুচ্ছ পরিকল্পনা রূপায়িত হচ্ছে। এরফলে রাজ্যে স্বনির্ভরতার পথ প্রশস্ত হচ্ছে।

আজ মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে স্কিল ডেভেলপমেন্ট দপ্তর আয়োজিত শংসাপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের শংসাপত্র ও বেশ কয়েকজনকে কর্ম-নিযুক্তিপত্র প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিল্পমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা বলেন, রাজ্যের যুবক যুবতীদের স্বনির্ভর করে তুলতে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে সরকার কাজ করছে। এজন্য যুবক যুবতীদের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে। প্রকল্পগুলির সুযোগ নিয়ে যুবক যুবতীদের স্বনির্ভর হওয়ার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, প্রত্যেকের মধ্যেই কিছু না কিছু প্রতিভা রয়েছে।

সেই প্রতিভাকে বিকশিত করে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব বলেন, পারিপার্শ্বিক চাহিদা ও বাজার অনুসারে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পেশা বেছে নেওয়া প্রয়োজন। এরফলে অনায়াসে কাজের সুযোগ ও উপার্জনের পথ সুনিশ্চিত হয়।

উৎপাদকগণ যেন সরাসরি পণ্যের বিক্রয়মূল্য পেতে পারেন রাজ্য সরকার সে বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ভোক্যাল ফর লোকাল ভাবনায় রাজ্যের যুব উদ্যোগীরাও সক্রিয়ভাবে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসছেন। সরকারি সহায়তায় বা অন্যভাবে নিজেরা দক্ষতা অর্জনের পর অন্যদেরও দক্ষ করে তোলার দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে যে শিল্পী এবং শিল্পগুলি মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছিল সেগুলোকে পুনরুজ্জ্বীবিতকরণে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব অভিষেক চন্দ্রা বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বর্ধন এবং কাজের সুযোগ তৈরি দুটিকেই সমান অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি কিভাবে তাদের বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত করা যায় সেই লক্ষ্যে সাফল্য আসছে। চাহিদা অনুসারে প্রশিক্ষণ প্রদানেও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

রোজগারের সুযোগ তৈরি হতে পারে এমন আরও কিছু ক্ষেত্রের প্রশিক্ষণ বাড়ানো হবে আগামীদিনে। রাজ্যের যুবক যুবতিদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রম কমিশনার নরেশ বাবু এন, পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের অধিকর্তা রাজীব মজুমদার, স্কিল ডেভেলপমেন্ট দপ্তরের অধিকর্তা সঞ্জয় চক্রবর্তী, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক অসীম সাহা প্রমুখ।

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?