অনলাইন ডেস্ক, ২৭ জুন।। সাদা ও লাল বলের জন্য আলাদা দুই কোচ। এসেছে নেতৃত্বে পরিবর্তন। টেস্টে জো রুটের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বেন স্টোকস। তাদের সামলানোর দায়িত্ব পড়েছে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের কাঁধে। যিনি কিনা ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে মারকুটে ব্যাটার। তিনি যখন টেস্ট কোচ হলেন, বুঝতে হবে বড় পরিবর্তন আসছে দীর্ঘ ফরম্যাটের ক্রিকেটে।
হলোও তাই। তার বড় উদাহরণ হতে পারেন জনি বেয়ারস্টো। দল বিপদে পড়লে প্রতি আক্রমণে উদ্ধার করছেন। যেখানে বলের চেয়ে রান বেশি। যেন টেস্ট খেলছেন ওয়ানডে মেজাজে। সিঙ্গেলের চেয়ে বেশি বাউন্ডারির সংখ্যা। ইংল্যান্ডকে দেখুন, কেমন বদলে গেল। অ্যাশেজে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সিরিজ হার।
এরপর কেমন খোলনলচে পাল্টে গেছে তাদের। ঘরের সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে এখন হোয়াইটওয়াশ করার পথে ম্যাককালামের শিষ্যরা। লর্ডস, নটিংহ্যামের পর এবার হেডিংলি টেস্ট জয়ের সামনে ইংল্যান্ড। কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট জিততে স্বাগতিকদের দরকার ১১৩ রান। হাতে আছে ৮ উইকেট। ব্যাটিংয়ে আছেন ওলি পোপ ও রুট। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটি।
২৯৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ২ উইকেটে ১৮৩ রান করে ফেলেছে ইংল্যান্ড। বলতে গেলে দারুণ এক রোমাঞ্চকর ‘টেস্ট যুগে’ প্রবেশ করেছে ইংলিশরা। ম্যাককালাম ও স্টোকসের ক্ষুরধার মস্তিষ্কের জুটি বেশ জমে উঠেছে। স্পিনার জ্যাক লিচও বেশ উচ্ছ্বসিত এমন ক্রিকেট খেলতে পেরে।
এর আগে যে এমন কিছুর অভিজ্ঞতা হয়নি তার!কেবল ইংলিশ ব্যাটাররা নন, বোলাররাও দারুণ সময় কাটাচ্ছে। হেডিংলি টেস্টের চতুর্থদিনে তো লিচ ফাইফারও পেয়েছেন। ৬৬ রানে নেন ৫ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৬৬ রানে ১০ শিকার। ক্যারিয়ারের প্রথম ১০ উইকেট, রোমাঞ্চিত লিচ।
এমন এক দলের অংশ হতে পেরেও শিহরিত তিনি। স্কাই স্পোর্টকে শোনালেন সেই কথা, ‘এই দলের অংশ হতে পারাও বিশেষ কিছু। ’ এমন কিছুর স্বাদও যে আগে পাননি লিচ, ‘আমি এমন আগে দেখিনি বা এত ভালো অনুভব করিনি। নিজের সিদ্ধান্তের প্রতি আত্মবিশ্বাসী স্টোকস। আমাদের ওপরও তার আস্থা আছে। ’