স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৫ জুন।।উপনির্বাচনে বাধা-বিপত্তি ও ‘যুদ্ধ’ করে যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদের সংবর্ধনা দিচ্ছে টিএইচআরও। সংগঠনের সভাপতি তথা বিশিষ্ট আইনজীবী পুরুষোত্তম রায়বর্মন শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে তিনি যা লিখেছেন তা হুবহু এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল।
“উপনির্বাচনের ভোটে অনেকেই যুদ্ধ করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
বাধা-বিপত্তি , হুমকি, শারীরিক আক্রমণ , রক্তপাত, শরীরে আঘাত, ইত্যাদি অগ্রাহ্য করে ভোট দিয়েছেন। ভোট লুটের বিরুদ্ধে নাগরিক যুদ্ধের বহু নজির সৃষ্টি হয়েছে । প্রতিটি কাহিনীই বীরত্বে, মহত্বে, চেতনায় ও দৃঢ়তায় অত্যুজ্জ্বল , দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ও অনুকরণযোগ্য। এরমধ্যে সমীর সাহা ও সলিল দেববর্মণ বিশেষ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন । শান্তিপূর্ণ নাগরিক প্রতিরোধের দ্রোহ রচনা করেছেন ।
আরো অনেকেই আছেন। তাদের সবাইকে ত্রিপুরা হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন জানিয়েছে নমস্কার ও অভিনন্দন। আগামী দিনগুলোতে এই সমস্ত নাগরিক বীরদের প্রত্যেকের কাছে আমরা পৌঁছার চেষ্টা করব। সমীর সাহাকে আমরা হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছিলাম। তাকে আমরা অভিনন্দিত করেছি। আজ ত্রিপুরা হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন এর পক্ষ থেকে আমি, পুরুষোত্তম রায় বর্মন, মৃন্ময় চক্রবর্তী , সমরজিৎ ভট্টাচার্য , কৌশিক নাথ এবং পরীক্ষিত রায় গিয়েছিলাম সলিল দেববর্মন মহোদয়ের বাড়িতে।
টি এইচ আর ওর পক্ষ থেকে আমরা তার হাতে তুলে দিয়েছে পুষ্পস্তবক ও মিষ্টি। তাঁকে সংবর্ধিত করে আমরা ধন্য হয়েছি। ৮৮ বছরের যুবক কি অসীম দৃঢ়তায় পাঁচ জন দুর্বৃত্তকে মোকাবেলা করে তাদের বাধা মাড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন তার বিবরণ তাঁর কাছ থেকে আবারও জানলাম। উনার পরিবারের লোকজন ছিলেন। সলিল দেববর্মনের সহধর্মীনিও ছিলেন।
তার পুত্র বধুকে আমরা বলেছি তিনি হচ্ছেন , আজকের নায়ক। পুত্রবধূ অত্যন্ত প্রণিধানযোগ্য প্রত্যুত্তরে বলেছেন, “He is the flavour of the season” . যথার্থই বলেছেন। আগামী কয়েকদিনে আমরা অন্য নাগরিক বীরদের কাছে পৌঁছে তাঁদের সংবর্ধিত করব। নাগরিক বীরদের সাহস ও দৃঢ়তার বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক দিকে দিকে।”