স্টাফ রিপোর্টার, খোয়াই, ২৫ জুন।। নেশামুক্ত রাজ্য গঠনের গেরুয়া সরকারের মনমোহিনী শ্লোগানের আড়ালে খোয়াই জুড়ে চলছে নেশার রমরমা।জোট সরকারের রাজত্বে খোয়াই এখন নেশা বাণিজ্যের মৃগয়াক্ষেত্র।শহর শহরতলী ছাড়িয়ে প্রান্তিক উপজাতি জনপদ সহ গোটা মহকুমা জুড়ে নেশার বাণিজ্য এখন বিস্তৃতি লাভ করেছে।
শাসকদলের স্থানীয় নেতাদের একাংশের মদতেই নেশার রমরমা ব্যবসা বাণিজ্য রমরমিয়ে চলছে বলে অভিযোগ।পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় সাধারণ মানুষজনেরাই এখন তিতিবিরক্ত হয়ে নেশাকারবারীদের ধাওয়া করে পাকড়াও করছেন।এরপর তুলে দিচ্ছেন পুলিশের হাতে।
সাধারণ মানুষের বক্তব্য হলো, পুলিশের ওপর আর কোন আস্থা নেই তাদের।তাই মানুষ নিজেরাই মাঠে নেমে নেশাকারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন।যদিও পুলিশ লঘু ধারায় মামলা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের আদালতে সোপর্দ করে নিজেরাই ধৃতদের সহজে জামিনের ব্যাবস্থা করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি অনেক সময় শাসকদলের স্থানীয় মন্ডল নেতা বা মাতব্বর গোছের নেতাদের সুপারিশে থানা থেকেই ধৃতদের ছেড়ে দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোন মামলাও নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
শনিবার এক শাসকদলীয় পন্চায়েতের উপপ্রধানের ভাইসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও এদের মধ্যে দুজনই সাধারণ মানুষের নেশা বিরোধী অভিযানে প্রথমে ধরা পড়ে।পরে এদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।ধৃত দুইজনের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ তৃতীয় নেশাকারবারীকে আটক করেছে।
তিনিই শাসকদলীয় পন্চায়েতের উপপ্রধানের ভাই বলে জানা গেছে।কিন্তু পুলিশ এদের তিনজনের বিরুদ্ধে এখন পর্য্যন্ত কোন মামলা নথীভুক্ত করেছে কিনা তা জানা যায়নি। ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে,এদিন পদ্মবিল এলাকার মানুষজন টাউন গণকীর কানু নাথশর্মা (৪৫)ও পূর্ব গণকীর নিবাস রায় (৪০) নামে দুই নেশাকারবারীকে পদ্মবিল বাজার থেকে ধাওয়া করে।
পরে একুশ কৌটো ব্রাউন সুগার সহ কানু নাথশর্মা চরগণকীর তাঁত চৌমুহনী থেকে ও নিবাস রায়কে অফিসটিলা থেকে পাকড়াও করে মানুষজন।পরে এদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে, অসীম নাগ (অলক) নামে চরগণকীর আরো একজন এই নেশাকারবারের নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত।
পুলিশ সাথে সাথেই চরগণকীর গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে অসীম নাগ (অলক) কে জালে তুলেছে।ধৃত ব্যাক্তি পশ্চিম গণকী পন্চায়েতের শাসকদলীয় উপপ্রধানের ভাই বলে জানা গেছে।
পুলিশের অভিযান টের পেয়ে সুভাষপার্ক কালীবাড়ি সন্নিহিত এলাকার অপর দুই অভিযুক্ত নেশাকারবারী পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।তিনজন আটক হলেও পুলিশ এখন পর্য্যন্ত এদের বিরুদ্ধে কোন মামলা নিয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।