স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৩ জুন।।
পুলিশকে প্রকাশ্যে ছুরি মেরে আসন্ন ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের ‘সেমিফাইনাল’ অর্থাৎ উপনির্বাচন শেষ। ফলাফল বের হবার অপেক্ষা। দিনভর ভোটের চালচিত্রে ছাপ্পা ভোট ও ভোটারদের উপর হামলার অভিযোগ শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে। বিরোধী দল সিপিআইএম ও কংগ্রেসের তরফে হামলা রুখে ভোটারদের ভোট দিতে যাওয়ার মানসিকতাকে অভিনন্দন জানানো হয়। বিজেপির দাবি, জয় নিশ্চিত।
ত্রিপুরায় চারটি বিধানসভা আগরতলা-৬, বড়দোয়ালি টাউন, সুরমা ও যুবরাজনগরে উরনির্বাচন শান্তিতে করানোর বার্তা দিয়ে নরমে গরমে কিছুটা পাস করল নির্বাচন কমিশন। শেষ বেলায় ছাপ্পা ভোটারদের তাড়া করে ধরা, বেদম পেটানির ছবি এসেছে। যা গত ২০১৮ বিধানসভা ভোট পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে দেখা যায়নি। পরিস্থিতি মারাত্মক হয়েছিল রাজ্যের পুরভোটের সময়। তবে উপনির্বাচনে প্রকাশ্যে পুলিশকর্মীকে খুনের চেষ্টা।
তাঁকে ভোট দিতে বাধা দিয়ে ছুরি মেরে জখম করার মতো ঘটনা ঘটেছে। জখম পুলিশকর্মীর নাম সমীর সাহা। তিনি ৬-আগরতলা বিধানসভার অন্তর্গত কুঞ্জবন এলাকায় ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে ছুরিকাহত হন। হাসপাতালে তিনি জানান, বিজেপির গুন্ডা বাহিনী হামলা করেছিল। পুলিশ কর্মীকে প্রকাশ্যে ছুরি মারার ঘটনায় তীব্র বিতর্ক ছড়ায়। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় প্রশ্ন তোলো প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম।
অভিযোগ আসে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। একাধিক বুথে প্রবীণ ভোটাররা আক্রান্ত হন। গত বিধানসভা ভোটে টানা ২৫ বছরের বাম জমানার পর বিজেপি জোট সরকার গড়ে ত্রিপুরায়। এর পর থেকে বারবার ভোট সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক সংঘর্ষে মদত দেওয়ার অভিযুক্ত বিপ্লব দেব কে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়েছে বিজেপি।
সরকারের মেয়াদ শেষ হবার ন’মাস আগে এই মুখ্যমন্ত্রী বদল শাসকদলের কাছে কাঁটা।নতুন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা রাজনৈতিক সন্ত্রাস থেকে দলকে বাইরে রাখার বার্তা দেন। এদিন উপনির্বাচনে মু়খ্যমন্ত্রীর বার্তা কতটা বাস্তবায়িত হবে তাও ছিল লক্ষ্যনীয়। ভোট শুরুর পর থেকে রাজধানী আগরতলার দুটি কেন্দ্র আগরতলা-৬ ও বড়দোয়ালি টাউনে ছাপ্পা চলে।
মুখ্যমন্ত্রী নিজে বড়দোয়ালিতে বিজেপি প্রার্থী। তাঁর কেন্দ্রে ছাপ্পা ও ভোটারদের মারধর করার একাধিক অভিযোগে নির্বাচন কমিশন ছিল জর্জরিত। একসময় সিআরপিএফ কড়া ভূমিকা নেয়। বাকি দুটি কেন্দ্র সুরমা ও যুবরাজনগর থেকে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনার খবর এলেও ভোট সন্ত্রাসের তেমন কোনও বড় খবর নেই।
ফলাফল ২৬ জুন। শাসক ও বিরোধী লড়াইয়ের মাঝে তৃতীয় শক্তি হিসেবে কোনও দলের উত্থান হবে নাকি রাজনৈতিক সমীকরণ ভিন্ন মোড় নেবে সেটি চর্চিত হচ্ছে।