অনলাইন ডেস্ক, ১৫ জুন।। ভারত থেকে কেনা গম এবং গমজাত আটা-ময়দা রপ্তানির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করল সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার। আগামী চার মাসের জন্য ভারত থেকে গম কেনার ওপরও নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম ‘এমিরেটস নিউজ এজেন্সি’। কিন্তু ঠিক কী কারণে এই নিষেধাজ্ঞা তার কোনও কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।
তবে এমন সিদ্ধান্তের নেপথ্যে মহানবী হযরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে বিজেপি নেতা নূপুর শর্মা-নবীন জিন্দালদের সাম্প্রতিক বিতর্কিত মন্তব্যকে দায়ী ভারতের করছেন কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ঘরোয়া বাজারের চাহিদা মেটাতে গত ১৪ মে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকার।
আর ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্তের জেরে ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ায় গমের দাম বাড়তে শুরু করে। একাধিক দেশ এবং আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ)-এর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে ভারতের কাছে। এমন পরিস্থিতিতে কেন ‘উল্টো পথে’ হাঁটল সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার?
কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভারতের শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের একাংশের বিতর্কিত মন্তব্যই এমন সিদ্ধান্তের কারণ। তবে আমিরাতের সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পেছনে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিস্থিতি সংক্রান্ত কোনও কারণ থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
গত মাসের শেষদিকে এক টেলিভিশন বিতর্কে মহানবীকে নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র (বর্তমানে সাসপেন্ড) নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আরব দুনিয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ভারতকে। সৌদি আরব, কাতার-সহ একাধিক দেশের শপিং মলে ভারতীয় পণ্য বিক্রি ঘিরেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
প্রসঙ্গত, সাধারণ ভাবে গম রপ্তানি বন্ধ করলেও চুক্তি অনুযায়ী সংযুক্ত আরব আমিরাতকে গম সরবরাহ করার প্রক্রিয়া জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদী সরকার। পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেই নিঃশুল্ক বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে ভারতের।
এই চুক্তির আওতায় থাকা পণ্য আমদানি এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পরস্পরের থেকে কোনও শুল্ক নেয় না দুই দেশ। চলতি বছর মে মাস থেকেই ওই চুক্তির আওতায় বাণিজ্য শুরু হয়েছিল দুই দেশের।