দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কাঁপছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, কিন্তু কেন?

অনলাইন ডেস্ক, ১৫ জুন।। তিনি যে গুরুতর অসুস্থ তা নিয়ে জল্পনা কম হয়নি। এবার প্রকাশ্যে এল এমন একটি ভিডিও যাতে দেখা যাচ্ছে যে, দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কাঁপছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্বভাবতই যা নতুন করে অক্সিজেন সঞ্চার করেছে পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে ক্রমাগত চলে আসা জল্পনায়।

রবিবার তোলা হয়েছে বলে দাবি করে একটি ভিডিও তোলপাড় ফেলে দিয়েছে ইন্টারনেটে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দাঁড়িয়ে থাকতে স্পষ্টতই অস্বস্তিতে পড়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। গত রবিবার মস্কোর ক্রেমলিনে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ৬৯ বছরের পুতিন।

দাবি করা হচ্ছে, ভিডিওটি তখনই তোলা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পুতিনের দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। তিনি কাঁপছেন। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’ এই ভিডিওটি তুলে ধরে দাবি করেছে, পুতিনের চিকিৎসকেরা ভগ্নস্বাস্থ্যের কারণে তাকে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে বা লম্বা ভাষণ দিতে বারণ করে দিয়েছেন।

পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে নিত্যনতুন জল্পনা নতুন কোনও বিষয় নয়। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণার প্রেক্ষিতে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে জল্পনা নতুন মাত্রা পায়। তিনি গুরুতর অসুস্থ- এমন একাধিক খবর প্রকাশিত হতে থাকে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।

তবে কোনও খবরেরই আনুষ্ঠানিক সত্যতা স্বীকার করেনি ক্রেমলিন। এই প্রেক্ষিতে, গত মঙ্গলবার ‘ফক্স নিউজ’ তাদের একটি প্রতিবেদনে দাবি করে, পুতিন শারীরিক ভাবে এতটাই অসুস্থ যে তিনি রাজধানী ব্যতীত অন্য কোনও জায়গায় গেলে তার মল, মূত্র পর্যন্ত সংগ্রহ করে মস্কো নিয়ে আসা হয়।

যাতে তা পরীক্ষা করে পুতিনের বর্তমানে শারীরিক অবস্থার কোনও হদিশ অন্য কেউ না পান। পুতিনের দেহরক্ষীদের কাছে একটি স্যুটকেসের মতো থাকে। মস্কোর বাইরে কোথাও গেলে সেই স্যুটকেসেই সংগ্রহ করা হয় পুতিনের মল ও মূত্র। এরপর তা দেশেই ফিরিয়ে আনা হয়। সেজন্য বডিগার্ডদের বিশেষ দলও আছে।

বিদেশ সফরের সময় পুতিনের সঙ্গে শৌচাগারে যান রাশিয়ান ফেডারেল প্রোটেকশন সার্ভিসের (এফপিএস) ছয়-সাতজন সদস্য। বিশেষ স্যুটকেসে মল-মূত্র সংগ্রহ করে রাশিয়ার ফিরিয়ে আনেন তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক সাংবাদিক সেই ভিডিও টুইট করেছেন। তাতে দাবি করা হয়েছে, দরজার সামনে দুজন দাঁড়িয়ে আছেন।

শৌচাগার (তেমনটাই দাবি করেছেন ওই সাংবাদিক) থেকে দুজন বেরিয়ে আসছেন। একজনের হাতে একটি স্যুটকেস আছে। তারপর আরও একজন বডিগার্ড আসছেন। পেছনে আসছেন পুতিন। একেবারে শেষে বেরিয়ে আসছেন আরও দুজন রক্ষী। গত মাসেই পুতিনের এক ঘনিষ্ঠ ধনকুবেরকে বলতে শোনা গিয়েছিল, প্রেসিডেন্ট ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত এবং গুরুতর অসুস্থ।

রাশিয়ার বাহিনীর এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ৬৯ বছরের পুতিনের ক্যানসার আছে। চোখের দৃষ্টিশক্তিও কমে গিয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘উনি (পুতিন) দুই থেকে তিন বছরের বেশি বেঁচে থাকবেন না।

’ফক্স নিউজ ডিজিটালকে এক সাবেক মার্কিন গুপ্তচর রেবেকা কফলার বলেছেন, ‘অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য় চলে যাবে বলে আশঙ্কায় ভোগেন পুতিন। রেবেকা বলেন, ‘তিনি একটা ধারণা তৈরি করতে চান যে, তিনিই অনির্দিষ্টকালের জন্য রাশিয়াকে শাসন করবেন। ’

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?