স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ জুন।। মেঘালয়ের লামস্লাংগে প্রবল বর্ষণে ভূমিধসের ফলে সড়কপথে রাজ্যের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও রাজ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মজুত সন্তোষজনক রয়েছে।
রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর ও খাদ্য দপ্তর উদ্ভুত পরিস্থিতির উপর নিয়মিত নজর রাখছে। আজ মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহণ দপ্তরের প্রধান সচিব এল এইচ দারলং এবং খাদ্য দপ্তরের সচিব শরদিন্দু চৌধুরী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দপ্তরের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা সাংবাদিকদের জানান।
পরিবহণ দপ্তরের প্রধান সচিব শ্রী দারলং জানান, গত দু’দিনের প্রবল বর্ষণের ফলে মেঘালয়ের খাসিয়া জয়ন্তিয়া হিলসের লামস্লাংগে ভূমিধসে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়। ফলে এই পরিস্থিতিতে বিকল্প হিসাবে বাংলাদেশের ঢাকা হয়ে আগরতলা কলকাতার মধ্যে প্রতিদিন দুটি করে বাস সার্ভিস চালু করার জন্য দপ্তরের পক্ষ থেকে শ্যামলী পরিবহন সংস্থাকে অনুরোধ করা হয়েছে।
অল্প সময়ের মধ্যে এই রুটে যাত্রীদের ভিসা অনুমোদন করার জন্য সহকারী হাইকমিশনারকে পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে রাজ্যে অতিরিক্ত বিমান পরিষেবা চালু করা এবং রাজ্যের যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন বিমান সংস্থার বিমান ভাড়া নির্দিষ্ট রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
শ্রীদারলং জানান, মেঘালয়ের খাসি হিলসের ডেপুটি কমিশনারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে যাতে বৃষ্টি বন্ধ হলে দ্রুত রাস্তা সারাই করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা যায়। খাদ্য দপ্তরের সচিব শরদিন্দু চৌধুরী জানান, এই সময়ে রাজ্যে পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাস-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মজুত যথেষ্ট রয়েছে।
তবুও দপ্তরের পক্ষ থেকে ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া এবং আই ও সি এল -এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে যাতে পরিস্থিতির উপর নজর রেখে তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। বাংলাদেশের উপর দিয়ে পেট্রোল, ডিজেল যাতে রাজ্যে আনা যায় সে বিষয়েও খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে আই ও সি এল কে বলা হয়েছে।
খাদ্য দপ্তরের সচিব শ্রী চৌধুরী জানান, চাল, তেল, পেঁয়াজ, ডাল, আটার মজুত সন্তোষজনক। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি সকলস্তরের ব্যবসায়ীসহ জনগণের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন।