স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ জুন।। দিল্লির ইডি দফতরে ন্যাশনাল হেরাল্ড বিতর্কে আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ চলে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধীর। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারা দেশে রাজভবন অভিযান কর্মসূচি পালন করছে কংগ্রেস। এরই অংশ হিসাবে এদিন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজভবন অভিযান করা হয়।
দলীয় নেতা কর্মীরা মিছিল করে রাজভবন অভিযানে গেলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ মিছিলের গতি রোধ করে। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় এক নেত্রী অভিযোগ করেছেন তাঁর সাথে শ্লীলতাহানি করেছেন পুরুষ নিরাপত্তা কর্মী। তিনি, বলেছেন পশ্চিম থানার ওসি সুব্রত চক্রবর্তী নাকি তাঁর শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত লাগিয়েছেন। ওই নেত্রীর দাবি তিনি বিষয়টি কোনভাবেই বরদাস্ত করবেন না।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাহুলকে হেনস্তা করছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। প্রতিবাদে গত তিনদিন ধরেই উত্তাল দিল্লি। এরই মধ্যে বুধবার দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে হামলা চালায় দিল্লি পুলিশ।
দরজা ভেঙে ভিতরে থাকা দলের নেতা কর্মীদের পুলিশ মারধর করে বলে এমন অভিযোগ। কংগ্রেসের দাবি, ইংরেজ শাসকও পরাধীন ভারতে কখনও কংগ্রেসের সদর দফতরে পুলিশ ঢোকায়নি। কিন্তু বুধবার বিজেপির হাতের পুতুল দিল্লি পুলিশ কংগ্রেস দফতরে ঢুকে মারধর করল।
পুলিশের অবশ্য দাবি, তারা কংগ্রেস দফতরে ঢোকেনি।এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশের সব রাজ্যে রাজভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। বুধবার বিকেলে দলের সমস্ত প্রদেশ কমিটিকে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে বলা হয়েছে। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব বলেন, এটা হল ২০২২ এর জরুরি অবস্থা।
এরপর যেন আর কখনও নরেন্দ্র মোদী জরুরি অবস্থার উল্লেখ না করেন। দলের জাতীয় মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, দিল্লি পুলিস বিজেপির দলদাস এবং কাঠপুতুল হয়ে পড়েছে। তারা নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া চলতেই পারে না।
রাহুল গান্ধী দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে মোদি সরকারের মুখোশ খুলে দিচ্ছেন বলেই তাঁর উপর বিজেপি নেতৃত্বের এত রাগ। তার জন্যই ইডি সিবিআইকে ব্যবহার করে রাহুল গান্ধীকে হেনস্তা করা হচ্ছে। সুরজেওয়ালা বলেন, এসব করে রাহুল গান্ধীর এবং কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মুখ বন্ধ করা যাবে না।