স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১ জুন।। রাজ্যে ট্রাফিক ই-চালান মামলায় জরিমানা আদায়ের পদ্ধতিকে সহজতর করার লক্ষ্যে আজ থেকে শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল কোর্ট ফর ট্রাফিক ই-চালান কেইসেস।
আজ ত্রিপুরা হাইকোর্টের অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল কোর্ট ফর ট্রাফিক ই-চালান পদ্ধতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ইন্দ্রজিৎ মোহান্তি। সুপ্রিম কোর্টের ই-কমিটি এই ভার্চুয়াল কোর্ট ওয়েব পোর্টালটি তৈরি করেছে। পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে বর্তমানে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় এই পদ্ধতিতে জরিমানা দেওয়া যাবে।
ধাপে ধাপে রাজ্যের অন্যত্রও এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট ফার্স্ট ক্লাস কোর্ট নং ১, আগরতলাকে এই পদ্ধতিতে জরিমানা আদায়ের জন্য ত্রিপুরা হাইকোর্ট থেকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এই ভার্চুয়াল কোর্টের বিভিন্ন পদ্ধতিগত বিষয় নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থিত সকলকে অবগত করানো হয়।
উল্লেখ্য, এই কোর্ট চালু হওয়ার ফলে ট্রাফিক ই-চালান সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির জন্য মামলাকারী ও আইনজীবিদের স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবেনা। বাড়িতে বসেই জরিমানার টাকা জমা দেওয়া যাবে। ট্রাফিক ই-চালান পদ্ধতির উদ্বোধন করে ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শ্রী মোহস্তি বলেন, আজ ত্রিপুরা বিচার ব্যবস্থার জন্য এক উল্লেখযোগ্য দিন।
বিচার ব্যবস্থায় ডিজিট্যাল পরিষেবা প্রদানে ত্রিপুরা হাইকোর্ট অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় সাধারণ মানুষ সহ এই পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত সকলেই উপকৃত হবেন। এরফলে সময়েরও সাশ্রয় হবে। অনুষ্ঠানে বিচারপতি সুভাশিষ তলাপাত্র বলেন, ডিজিট্যাল প্লাটফর্ম সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়।
সেই দিকে সামঞ্জস্য রেখে এই ভার্চুয়াল কোর্টে পরিষেবা প্রদানের পদ্ধতি আগামীদিনে যাতে আরও উন্নততর করা হয় সেইদিকে নজর রাখতে হবে। তিনি এই ব্যবস্থাকে সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য সংশ্লিষ্টদের যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার জেনারেল দাতামোহন জমাতিয়া।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম লোখ, বিচারপতি টি অমরনাথ গৌড় ও বিচারপতি এস জি চট্টোপাধ্যায়, অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শংকর দে, পুলিশ মহানির্দেশক ভি এস যাদব, প্রধান সচিব এল ভার্নং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস সহ ত্রিপুরা হাইকোর্ট, ট্রাফিক ও অন্যান্য দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকগণ।