অনলাইন ডেস্ক, ১ জুন।। সদ্য সমাপ্ত মে মাসে জিএসটি বাবদ রাজস্ব সংগ্রহের মোট পরিমাণ ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।
এর মধ্যে সিজিএসটি বাবদ ২৫ হাজার ৩৬ কোটি টাকা, এসজিএসটি বাবদ ৩২ হাজার ১ কোটি টাকা, আইজিএসটি বাবদ ৭৩ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা (পণ্য সামগ্রী আমদানি থেকে সংগৃহীত ৩৭ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা সহ) এবং সেস বাবদ ১০ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা (পণ্য সামগ্রীআমদানি থেকে সংগৃহীত ৯৩১ কোটি টাকা সহ) সংগৃহীত হয়েছে।সরকার আইজিএসটি থেকে সিজিএসটি বাবদ ২৭ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা এবং এসজিএসটি বাবদ ২৩ হাজার ১২৩ কোটি টাকা মিটিয়ে দিয়েছে।
আলোচ্য মাসে প্রাপ্য বকেয়া মেটানোর পর কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মোট রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সিজিএসটি বাবদ ৫২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা এবং এসজিএসটি বাবদ ৫৫ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। এছাড়াও, কেন্দ্র মঙ্গলবার (৩১শে মে) রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে জিএসটি ক্ষতি পূরণ বাবদ ৮৬ হাজার ৯১২ কোটি টাকা দিয়েছে।
সদ্য সমাপ্ত মে মাসে জিএসটি খাতে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ গত বছরের আলোচ্য মাসে সংগৃহীত ৯৭ হাজার ৮২১ কোটি টাকার তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি। একইভাবে, চলতি বছরের মে মাসে পণ্য সামগ্রী আমদানি থেকে রাজস্ব ৪৩ শতাংশ, অভ্যন্তরীণ লেনদেন (পরিষেবা আমদানি সহ) থেকে রাজস্ব সংগ্রহ ৪৪ শতাংশ বেড়েছে।
জিএসটি ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর চার বার মাসিক সংগ্রহের পরিমাণ ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকার সীমা ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে, গত মার্চ থেকে পরপর তিন মাস রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। জিএসটি খাতে রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধির পাশাপাশি, এপ্রিল মাসে ই-ওয়ে বিল তৈরি হয়েছে ৭ কোটি ৪০ লক্ষ, যা মার্চ মাসে ৭ কোটি ৭০ লক্ষের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি।
মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে জিএসটি খাতে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ গত বছরের ঐ একই মাসে সংগৃহীত ৩ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা থেকে ৩৬ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা হয়েছে।