অনলাইন ডেস্ক, ১ জুন।। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে এ পর্যন্ত প্রায় পনের হাজার যুদ্ধাপরাধের মতো ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে দেশটির প্রধান কৌঁসুলি অভিযোগ করেছেন। খবর বিবিসির।
দ্যা হেগ শহরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ইরিনা ভেনেডিকটভা বলেন, এসব ঘটনায় ছয়শ সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ৮০টি ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, এই সন্দেহভাজনদের তালিকায় রুশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র পর্যায়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও দেশটির রাজনীতিক ও রাশিয়ার পক্ষে কাজ করা ‘প্রোপাগান্ডা এজেন্ট’দের নাম রয়েছে।
তবে রাশিয়া বরাবরই বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ভেনেডিকটভা জানিয়েছেন যে, পনের হাজার যুদ্ধাপরাধের ঘটনার মধ্যে কয়েক হাজার হয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস অঞ্চলে, যেখানে ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে রুশদের তীব্র লড়াই হয়েছে।
ওই অঞ্চলে যুদ্ধাপরাধের যেসব ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে আছে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা। বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের রাশিয়ার দুটি আলাদা এলাকায় পাঠিয়ে দেয়া।
তিনি বলেন, নির্যাতন, বেসামরিক নাগরিক হত্যা, বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করাও সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধের মধ্যে রয়েছে।
দি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম কোর্ট ইতিমধ্যেই ইউক্রেনকে ‘অপরাধ ক্ষেত্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং ইতোমধ্যেই সংস্থাটির তদন্ত কর্মকর্তাদের একটি বড় দলকে ইউক্রেনের তদন্ত কার্যক্রমে সহায়তার জন্য ছেড়ে দিয়েছে।
তারা কিয়েভে একটি কার্যালয় নেয়ারও আশা করছে।