স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৬ মে।।ভারত- বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের অবদান কারো অজানা নয়। নজরুল ইসলামের চিন্তাধারাকে ভিত্তি করে আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে যেমন এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, তেমনি নজরুলের চিন্তা চেতনায় আগামী প্রজন্মকে সমৃদ্ধও করে তুলতে হবে।
আজ তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তীতে নজরুল কলাক্ষেত্রে আয়োজিত কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
আগরতলা পুর নিগমের মোর দীপক মজুমদার, ত্রিপুরা উচ্চশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান অরুণোদয় সাহা, ত্রিপুরার চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব পি কে গোয়েল ও অধিকর্তা রতন বিশ্বাস প্রমুখ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শুরুতে অতিথিগণ নজরুল কলাক্ষেত্র প্রাঙ্গণে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আরও বলেন, সংস্কৃতি-সাহিত্য ব্যতীত মানুষের মনের ভাব প্রকাশ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে রবীন্দ্র-নজরুল সাহিত্যের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করার যে দিশা দেখিয়েছেন সেই দিকে নবীন প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রতিবছর সরকারি উদ্যোগে তাঁদের জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়।
তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন নজরুলের চিন্তা চেতনায় সমৃদ্ধশালী হলে দেশপ্রেম ও সৌভ্রাতুবোধ সম্পন্ন সমাজ গড়ে উঠবে। যা আগামীদিনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে। সকলকে সমাজের ভালো দিকগুলোকে সামনের দিকে নিয়ে আসার জন্য তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী এদিনের অনুষ্ঠানে আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে রাজ্যভিত্তিক নজরুল জন্মজয়ন্তী বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে আজ আগরতলা রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে রাজ্যভিত্তিক বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ কবি নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
এরপর নজরুল প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, উচ্চশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. অরুণোদয় সাহা, শিক্ষা দপ্তরের সচিব পি কে গোয়েল, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা, মধ্যশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা চাঁদনি চন্দ্রণ ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ।