অনলাইন ডেস্ক, ২৭ মে।। পাকিস্তান সরকার কি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে চলেছে? সেরকমই সম্ভাবনা বাড়ছে। নির্বাচনের দাবিতে ইসলামাবাদ ঘেরাও করা ইমরান খানের বিরুদ্ধে জারি হলো নাশকতার মামলা।
অভিযোগ, বুধবার রাতে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে ‘আজাদি লংমার্চ’ নামে যে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছিল সেখানে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সহ তার দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের (পিটিআই) বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি নাশকতার মামলা হয়েছে।
নির্বাচন চেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী ইসলামাবাদে আজাদি মার্চ থেকে পাক সরকারকে ছয়দিনের সময়সীমা দিয়েছেন ইমরান খান। তিনি ও হাজার হাজার তেহরিক ই ইনসাফ সমর্থক ইসলামাবাদের অতি সুরক্ষিত রেড জোনের মধ্যে ঢুকে পড়েন। পরিস্থিতি বুঝে সেনা নামানো হয়।
ইমরান খান বলেছেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম- সরকার সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন ঘোষণা না করা পর্যন্ত এখানে বসে থাকব। কিন্তু যা দেখেছি, তাতে সরকার দেশে নৈরাজ্য কায়েম করতে চাইছে। সরকার খুশি হবে যদি আমি ইসলামাবাদে অবস্থান ধর্মঘট পালন করি। কারণ এতে জনগণ, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হবে।
ক্ষমতাচ্যুত হবার পর জাতীয় নির্বাচন চান ইমরান খান। পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে কোনওভাবেই মেয়াদপূর্তির আগে জাতীয় নির্বাচন হবে না। পাক জাতীয় সংসদে বিবৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, এখনই ভোট হচ্ছে না।
নির্বাচিত জোট সরকারের শরিকদের ভাঙিয়ে সরকারকে সংখ্যালঘু করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। এমনই অভিযোগ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী জোট অনাস্থা আনে। ইমরান পরাজিত হন। প্রধানমন্ত্রী