অনলাইন ডেস্ক, ২৬ মে।। আফগানিস্তানের তিনটি বিমান বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব পেল সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্বের প্রতিযোগিতায় ছিল তুরস্ক ও কাতার। আমিরাত প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা আনোয়ার ঘারগাশ বুধবার এক ট্যুইট করে এই বিষয়টি জানান। ঘারগাস জানান, আফগানিস্তানের তিনটি বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্ব আমিরাত যোগ্য প্রার্থী হিসেবেই জয় করেছে। এতে বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তার ব্যাপারে আমিরাতের সক্ষমতা ও সামর্থ্যের বিষয়টি ফুটে উঠবে।
গত বছর আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবান। আগস্টে তালিবান ক্ষমতা গ্রহণের পর বিমানবন্দর পরিচালনা ও নিরাপত্তার সহায়তার কারিগরি দল পাঠিয়েছিল তুরস্ক ও কাতার।
তালিবানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল গনি বারাদার মঙ্গলবার কাবুলে সাংবাদিকদের বলেন, তার প্রশাসন বিমানবন্দর পরিচালনার জন্য আমিরাতের সঙ্গে একটি চুক্তিতে এসেছে। কাতারে আলোচনার সময় একটি শর্ত সুস্পষ্টভাবে ছিল যে বিমানবন্দরগুলোতে কাতারের নিরাপত্তা সদস্যরা উপস্থিত থাকবেই। বারাদার আরও বলেন, বিশ্বের সকল দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে চায় আফগানিস্তান। এক সময় আফগানিস্তান যুদ্ধে আক্রান্ত হয়েছে, এখন আমরা দেশ গড়ছি।
তিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের তার দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সবধরনের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা দেবে তালিবান সরকার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভূমিকার প্রশংসা করে বারাদার বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে কঠোর পরিশ্রম করছে। সকল আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স চুক্তির মাধ্যমে শীঘ্রই আফগানিস্তানে ফিরবে, এতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে কাতার, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আফগানিস্তানের তিনটি বিমান বন্দর পরিচালনা চুক্তির জন্য আলোচনা চালিয়ে আসছিল তালিবান।