অনলাইন ডেস্ক, ২২ মে।। বিশ্বব্যাপী আরও বিভিন্ন দেশে মাঙ্কি পক্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যেসব দেশে এখনো এই ভাইরাস ছড়ায়নি সেগুলোতে নজরদারি বাড়াতে বলেছে সংস্থাটি।
শনিবার ১২টি দেশে ৯২ জনের দেশে মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এছাড়াও ২৮ জনকে সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের এই সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, মাঙ্কি পক্স যাতে আর না ছড়ায় সে জন্য তারা আক্রান্ত দেশগুলোকে আরও দিকনির্দেশনা ও বিভিন্ন পরামর্শ দেবে।
এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে, আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসলে এটি অন্যদের মাঝেও ছড়ায় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। মাঙ্কি পক্স একটি বিরল ও স্বল্প পরিচিত রোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার উষ্ণ ও আর্দ্র বনাঞ্চলের বানররা ছিল এ রোগের প্রথম শিকার। তারপর একসময় মানবদেহেও সংক্রমিত হওয়া শুরু করে রোগটি। মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাসজনিত অসুখ। স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী।
ভাইরাসটির দুটি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে- মধ্য আফ্রিকান ও পশ্চিম আফ্রিকান। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাস প্রাণঘাতী নয়। রোগটির বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘেমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদ। প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় ফোসকা ও অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে; বিশেষ করে হাতের তালু ও পায়ের তলা। গণসংক্রমণের ঝুঁকিও খুব কম। এত দিন কেবল মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকাতেই এ রোগে আক্রান্ত রোগীর দেখা মিলত। এ কারণে এই ভাইরাসটি করোনা মহামারীর মতো দুর্যোগ বয়ে আনবে না বলেই ধারণা করছেন সংক্রামক রোগ ও জীবাণুবিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
তবে ডব্লিউএইচও এতটা নিশ্চিত হতে পারছে না। সংস্থার ইউরোপীয় শাখার এক কর্মকর্তা এ সম্পর্কে রয়টার্সকে বলেন, ‘এ মহাদেশের দেশগুলোতে গ্রীষ্মকাল জুড়ে পার্টি ও উৎসব চলতে থাকে। এ কারণে সংক্রমণ আরও বাড়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ’
মাঙ্কিপক্স রোগের জন্য এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, স্মলপক্স বা জলবসন্তের জন্য ব্যবহৃত টিকা মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর।