অনলাইন ডেস্ক, ২০ মে।। পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলে রুশ সেনাদের হামলায় ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সেভেরোদোনেতস্কে ১২ জন এবং গিরস্কে আবাসিক এলাকায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।
এছাড়া লুহানস্কের আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং লিসিচানস্কের দিকে আরও এগিয়ে গেছে রুশ সেনারা। লুহানস্কের গভর্নরের বরাতে শুক্রবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে এই খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
লুহানস্কের গভর্নর সেরহি হাইদাই টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় বলেছেন, বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলায় সেভেরোদোনেতস্ক ও গিরস্কে আবাসিক এলাকায় এই ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া রুশ সেনাদের হামলায় লুহানস্ক অঞ্চলে ৬০টিরও বেশি বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংস হয়ে যাওয়া এসব বাড়ি-ঘর জোলোট, ভ্রুবিভকা এবং রুবিঝন এলাকায় অবস্থিত।
হাইদাই আরও বলেন, ‘তোশকিভকা এলাকায় এখনও সংঘর্ষ চলছে এবং সেসব এলাকার ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ করা অসম্ভব’।
এদিকে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর সাধারণ কর্মীরা জানিয়েছেন, সেভেরোদোনেতস্কে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সর্বশেষ হামলা ব্যর্থ হয়েছে এবং সেখানে রাশিয়া বহু সেনাকে হারিয়েছে। এরপর সেখান থেকে রুশ সেনারা পিছু হটে বলেও দাবি করেছে তারা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা চালায়। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।
রুশ সেনারা প্রথমদিকে প্রায় পুরো ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে হামলা চালায়। তবে পরে সেই অবস্থান থেকে সরে এসে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী মূলত মনোযোগ দেয় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকায়। তখন থেকেই এই অঞ্চলে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে রুশ সেনারা।
আরও স্পষ্ট করে বললে, রুশ-ভাষী মানুষকে রক্ষা এবং রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রক্ষার কথা বলে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল নিয়ে গঠিত ডনবাস ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা করছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। আর এতেই রুশ সেনাদের ব্যাপক গোলাবর্ষণে বিধ্বস্ত হচ্ছে ইউক্রেনের এই শিল্প এলাকা।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তর জানিয়েছে, রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৩২ জন শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৪২৭ জন শিশু।
রয়টার্স অবশ্য শিশুদের হতাহতের এই তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি এবং চলমান এই সামরিক অভিযানে বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া।
[contact-form][contact-field label=”Name” type=”name” required=”true” /][contact-field label=”Email” type=”email” required=”true” /][contact-field label=”Website” type=”url” /][contact-field label=”Message” type=”textarea” /][/contact-form]
