অনলাইন ডেস্ক, ১৯ মে ।। মৈত্রী এক্সপ্রেস বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ট্রেন। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। তার মধ্যে অনেকের নানা শারীরিক জটিলতার কারণে বিমানে চড়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকে।
অনেকের বিমানের টিকিট কাটার সামর্থ্য থাকে না। আবার সড়কপথে বাসে কলকাতা আসার ধকল নিতে পারে না শরীর। এই পরিস্থিতিতে তাদের একমাত্র ভরসা দু’দেশের সংযোগ রক্ষাকারী ট্রেনগুলি।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ ২৬ মাস পর আন্তর্দেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। ২৯ মে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন দুটির চলাচল শুরু হবে। আর ১ জুন চালু হবে মিতালি এক্সপ্রেস।
২০২০ সালে করোনার সংক্রমণ শুরু হলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতা স্টেশন থেকে গেদে-দর্শনা হয়ে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস।
কলকাতা স্টেশন থেকে পেট্রাপোল বেনাপোল হয়ে খুলনাগামী বন্ধন এক্সপ্রেস ও নিউ জলপাউগুড়ি থেকে চ্যাংরাবান্ধা হয়ে ঢাকাগামী মিতালি এক্সপ্রেস। দু’দেশের রেল মন্ত্রকের আলোচনার ভিত্তিতে অবশেষে চালু হতে চলেছে মৈত্রী এক্সপ্রেস। ২৯ মে থেকে ফের চলবে এই ট্রেন।
রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, একে একে চালু হয়ে যাবে বাকি ট্রেনগুলিও। তা ছাড়া আগামী কয়েক বছরে ভারত-বাংলাদেশের রেল যোগাযোগে যুগান্তর ঘটবে বলে মনে করছেন অনেকে।