অনলাইন ডেস্ক, ১৮ মে।। আজভস্টালের ইস্পাত কারখানায় এখনো আটকে থাকা যোদ্ধাদের রক্ষায় ইউক্রেন সম্ভাব্য সবকিছু করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। খবর বিবিসির।
উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী হান্না মালিয়ার বলেছেন, এখনো কতজন সেখানে আটকে আছে সেই তথ্য কিয়েভের হাতে এসেছে। তবে এটিকে তিনি ‘স্পর্শকাতর তথ্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এর আগে সোমবার ২৬৪ জন যোদ্ধাকে রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন গুরুতর আহত।
মঙ্গলবার আরও সাতটি বাসে করে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
একটি কনভয় ডনবাস অঞ্চলে রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা একটি গ্রামে পৌঁছানোর খবরও দেয় সংবাদ মাধ্যমটি।
রাশিয়ার সরকারি কৌসুঁলিরা বলেছেন, নিয়মিত তদন্তের অংশ হিসেবে তারা সব ইউক্রেনীয় সেনাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
ইউক্রেন চেয়েছিল মারিউপোলে আটকে পড়া শেষ যোদ্ধাদের তাদের হাতে আটক থাকা রাশিয়ান সেনাদের সাথে বিনিময় করতে।
মার্চের শুরু থেকেই শত শত ইউক্রেনীয় সেনা- যার মধ্যে আছে মেরিন, ন্যাশনাল গার্ড (এর মধ্যে আজভ রেজিমেন্টও আছে), বর্ডার গার্ড, পুলিশ ও অন্য বাহিনী ছাড়াও বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিক সেখানে আটকা পড়েছিল।
এর মধ্যে চলতি মাসের শুরুতে বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিককে মারিউপোল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
তবে কতজন আটকে আছে এখনো তা নিয়ে মঙ্গলবারের ব্রিফিংয়ে মালিয়ার বিস্তারিত তথ্য দেননি।
এদিকে মঙ্গলবার ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা ও মধ্যস্থতাকারী দল এবং জাতিসংঘ ও রেডক্রস উদ্ধার অভিযানে অন্তর্ভুক্ত আছে।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে ইউক্রেনের সৈন্যরা হয়তো শিগগিরই মুক্তি পাবে না কারণ মধ্যস্থতাকারীদের সময় দরকার হবে।
ইউক্রেনের এমপি লেসিয়া ভাজিলেঙ্কো বিবিসিকে বলেছেন, জাতিসংঘের সহায়তায় সৈন্য বিনিময় নিয়ে রাশিয়ার সাথে যে চুক্তি হয়েছে সেটিই এখন প্রয়োজনীয়।
অন্যথায় আটকে থাকা সাহসী যোদ্ধাদের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়বে, বলছিলেন তিনি।
আজভ রেজিমেন্ট ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল যা এখন ন্যাশনাল গার্ড ইউনিট।