অনলাইন ডেস্ক, ১৫ মে।। আফগানিস্তানের পশ্চিম হেরাত প্রদেশে তালেবানরা ঘরের বাইরে নারী-পুরুষের একসঙ্গে চলা-ফেরা এবং হোটেলে বসে খাবার খাওয়াও নিষিদ্ধ করেছে। এমনকি পারিবারিক হোটেলেও স্বামী-স্ত্রীরও একসঙ্গে বসার অনুমতি মিলছে না!
হেরাত প্রদেশের সূত্রের বরাত দিয়ে আফগান বার্তা সংস্থা খামা প্রেস জানিয়েছে, পুরুষদের পারিবারিক রেস্তোরাঁয়ও পরিবারের নারী সদস্যদের সঙ্গে বসে খাবার খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না!
আফগান এই বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীরাও তালেবানের পুণ্যকাজে সহায়তা এবং পাপকাজে বাধাদান সংক্রান্ত (পাপ-পুণ্য) মন্ত্রণালয়ের নিয়ম থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।
এক আফগান নারী অভিযোগ করেছেন যে, হেরাতের একটি রেস্তোরাঁর ম্যানেজার তাকে তার স্বামীর থেকে আলাদাভাবে বসতে বলেছিলেন।
পুণ্যকাজে সহায়তা এবং পাপকাজে বাধাদান (পাপ-পুণ্য) মন্ত্রণালয়ের তালেবান কর্মকর্তা রিয়াজুল্লাহ সিরাত বলেছেন, সম্প্রতি মন্ত্রণালয় হেরাতের পাবলিক পার্কগুলোতে পুরুষ এবং নারীদেরকে ভিন্ন ভিন্ন দিনে পার্কে আসার আদেশ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নারীদের শুধু বৃহস্পতি, শুক্র এবং শনিবার পার্কে যেতে বলা হয়েছে। বাকী দিনগুলো পুরুষদের পার্কে বেড়ানো, অবসর এবং ব্যায়ামের জন্য রাখা হয়েছে’।
গত মার্চ মাসেও তালেবান একই ধরনের একটি আদেশ জারি করে পুরুষ ও নারীদের একই দিনে বিনোদন পার্কে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছিল।
এই ঘটনায় আজ শনিবার পশ্চিমা দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতিতে আফগানিস্তানে নারীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তালেবান আরোপিত বিধি-নিষেধ বেড়ে চলার বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কোনো আফগান নাগরিককে তার মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এই অধিকারগুলো অবিভাজ্য এবং অবিচ্ছেদ্য, যেগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং জাতিসংঘের সকল সদস্য এতে অনুমোদন দিয়েছে’।