অনলাইন ডেস্ক, ১৩ মে।। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বার্ষিক রূপায়ণ পরিকল্পনা বিবেচনার জন্য স্বচ্ছ ভারত মিশন – গ্রামীণ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে জাতীয় প্রকল্প অনুমোদন কমিটির তৃতীয় বৈঠক আজ অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন পানীয় জল ও স্বচ্ছাতা দপ্তরের সচিব শ্রীমতী বিনি মহাজন। এই বৈঠকে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বার্ষিক রূপায়ণ কর্মপরিকল্পনা ও তার লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে পানীয় জল ও স্বচ্ছতা দপ্তরের সচিব রাজ্যগুলিকে প্রকাশ্য স্থানে মলমূত্র বর্জনের বর্তমান অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যেসমস্ত পরিবারে শৌচাগারের সুবিধা নেই, সেখানে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এর ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে মানসিকতায় পরিবর্তন আনা এবং গ্রামগুলিকে দৃশ্যত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে স্বচ্ছতা অভিযানকে আরও জোরদার করার কথা বলেন তিনি।
প্রাকৃতিক উপায়ে বিনষ্ট করা সম্ভব এমন বর্জ্য পদার্থের সুদক্ষ পরিচালনা, গোবর্ধন কর্মসূচি, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি ক্ষেত্রে চালু উদ্যোগগুলিকে আরও ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর তিনি জোর দেন।আলোচনার সূত্রপাত করে পানীয় জল ও স্বচ্ছতা দপ্তরের বিশেষ সচিব শ্রী অরুণ বারোকা স্বচ্ছ ভারত – গ্রামীণ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায় সম্পর্কে এক বিস্তারিত বিবরণী পেশ করেন।
তিনি জানান, কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তহবিলের সংস্থান রয়েছে। এমনকি স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ গ্রামীণ, সরপঞ্চ সংবাদ, স্টার্ট-আপ গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জ এবং গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলির কথা উল্লেখ করেন। প্রস্তাব দেওয়া হয় যে, যেসমস্ত গ্রামে কঠিন বর্জ্য বা তরল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয় সংস্থান রয়েছে সেই গ্রামগুলি ওডিএফ প্লাস মডেল অনুসরণ করতে পারে।
এছাড়াও যেসমস্ত গ্রামে ৫০০০-এর বেশি জনসংখ্যা রয়েছে সেই গ্রামগুলি প্রাকৃতিক উপায়ে বিনষ্ট হয় এমন বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা, গ্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট কৌশল গ্রহণ করতে পারে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বার্ষিক পরিকল্পনা রূপায়ণ সম্পর্কে দপ্তেরর বিশেষ সচিব পরিকল্পনা মূল্যায়ন কমিটির পক্ষ থেকে যে সমস্ত মতামত ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তার কথা উল্লেখ করেন।