অনলাইন ডেস্ক, ১৩ মে।। তাজমহলের মূল ভবনের ২২টি তালাবন্ধ ঘরের দরজা খোলার দাবিতে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে কোনও ঐতিহাসিক গবেষণার জন্য নির্দিষ্ট মেথডোলজিবা প্রণালী রয়েছে। এই বিষয়গুলি ঐতিহাসিক বা শিক্ষাবিদদের গবেষণার বিষয় এবং বিতর্কের বিষয়। আদালতের হাতে এই বিষয়ে কোনও ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা নেই। তাই এই বিষয়ে আদালত কোনও নির্দেশ দিতে পারে না। পাশাপাশি, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) আধিকারিকদের মতে, পিটিশনে যে দাবিগুলো করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুল।
মূলত, ওই আবেদনে বলা হয় যে, তাজমহলের ওই কক্ষগুলিতে হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি রয়েছে। এমতাবস্থায়, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওইসব কক্ষ স্থায়ীভাবে বন্ধও নেই। একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে, এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছিলেন, এই কক্ষগুলি স্থায়ীভাবে বন্ধ নয় এবং সেগুলি সংরক্ষণের কাজের জন্য সম্প্রতি খোলাও হয়েছিল। এছাড়াও, বছরের পর বছর ধরে করা নথিপত্র যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমেও “মূর্তির অস্তিত্ব সামনে আসেনি”।
সরকারিভাবে এই কক্ষগুলিকে “সেলস” বলা হয়। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, এই কাজের একজন বিশেষজ্ঞ সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, এখনও পর্যন্ত পর্যালোচনা করা অনেক রেকর্ড এবং প্রতিবেদনে মূর্তিগুলির অস্তিত্ব এখনও দেখানো হয়নি। তাজ সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই সমাধিটিতে ১০০ টিরও বেশি কক্ষ রয়েছে, যা নিরাপত্তার কারণে জনসাধারণের জন্য বন্ধ রয়েছে।