অনলাইন ডেস্ক, ১৩ মে।। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দুই মাস পার হয়েছে। এখন দু-পক্ষই অনড় মনোভাব নিয়ে বসে আছে। কয়েকদিন আগেই ফ্রান্স সফর থেকে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার ফের নেপাল সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রতিবেশী শক্তিকে সুসংহত করার লক্ষ্যে কাজ করছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তারই অংশ হিসেবে এ সফর মোদির। বুদ্ধ পূর্ণিমা ১৬ মে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার আমন্ত্রণে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ১৬ মে লুম্বিনীতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। তবে বিমান বন্দরে নামবেন না নরেন্দ্র মোদি। মোদি প্রথমে ভারতের কুশীনগর বিমানবন্দরে নামবেন। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে লুম্বিনীতে যাওয়ার কথা।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, লুম্বিনীতে থাকার সময় নরেন্দ্র মোদি মায়াদেবী মন্দির পরিদর্শন করবেন। এ ছাড়া লুম্বিনী ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট আয়োজিত বুদ্ধ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন। এছাড়াও নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক সূত্রে খবর, নেপালের রাজনৈতিক মানচিত্রে উত্তরাখণ্ডের কালাপানি-লিপুলেখ-লিম্পিয়াধুরার ত্রিভুজাকার এলাকা যোগ করা নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কের পর প্রধানমন্ত্রীর সফরকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নেপাল ও ভারতের মধ্যে ১৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি খোলা সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। বিরোধের কেন্দ্রে রয়েছে কালাপানি, লিপুলেখ।
প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনায় দুটি দেশ সম্মত হয়েছে যে, সীমান্তের সমস্যা সচিবদের বৈঠকে সমাধান করা হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও বৈঠক হয়নি।
অন্যদিকে নেপাল চায় ভারতের সঙ্গে লুম্বিনী ও নেপালগঞ্জকে সংযুক্ত করতে। তবে নেপাল সীমান্তের কাছে গোরক্ষপুরে ভারতের প্রতিরক্ষা ঘাঁটি রয়েছে বলে নেপালের ওই চাওয়ায় আপত্তি রয়েছে দিল্লির। বিষয়টি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সরব হতে পারে নেপাল।
উল্লেখ্য,লুম্বিনীতে ভারতীয় সীমান্তের কাছেই একটি বিমানবন্দর তৈরি করেছে চিন। সেই বিমানবন্দর শের বাহাদুর দেউবা দ্রুত উদ্বোধন করা হবে বলে সূত্রের খবর।
বিগত কয়েকদিনে রাজনৈতিক চাপানউতরে নেপাল ও চিনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে নেপালের। এই পরিস্থিতিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর ডাকে নরেন্দ্র মোদির লুম্বিনী সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।