সপ্তাহ ধরেই কৃষ্ণসাগর উপকূলে ভেসে আসছে শতাধিক মৃত ডলফিন

অনলাইন ডেস্ক, ১৩ মে।। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই কৃষ্ণসাগর উপকূলে ভেসে এসেছে শতাধিক মৃত ডলফিনের দেহ। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন রুশ এবং ইউক্রেন নৌবাহিনীর সঙ্ঘাতে সমুদ্রের পানিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ এবং দূষণের কারণেই তারা মারা যাচ্ছে। কিন্তু ডলফিনের গণমৃত্যুর কারণ হিসেবে সামনে আসছে অন্য তত্ত্বও। কৃষ্ণসাগরের রুশ নৌঘাঁটিগুলোর পাহারাদার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ডলফিনগুলোকে ইউক্রেন বাহিনী পরিকল্পিতভাবে খুন করছে কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই।

এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে ইউক্রেনীয় সেনাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন রুশ রণতরী মস্কোভার সলিলসমাধি ঘটেছিল। তার পরেই ক্রিমিয়ার সেভাস্তিপোল-সহ কৃষ্ণসাগরের কয়েকটি রুশ নৌঘাঁটির নিরাপত্তায় বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডলফিন বাহিনী নিয়োগ করেছিল মস্কো। গত দুসপ্তাহে সেখানকার উপকূলবর্তী এলাকায় শতাধিক ডলফিনের দেহ দেখা গিয়েছে। যদিও তাদের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলে তুরস্কের একটি গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

সামরিক কাজে ডলফিনের ব্যবহার অতীতেও করেছে রাশিয়া। ২০১৮ সালে সিরিয়ার যুদ্ধের সময় টারটাস নৌঘাঁটিতে ডলফিন বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছিল। উপগ্রহচিত্রে সেই ছবি ধরাও পড়েছিল। বস্তুত, ষাটের দশকে সোভিয়েত জমানাতেই প্রায় মানুষের মতোই বুদ্ধিমান এই প্রাণীগুলোকে সামরিক কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সূচনা হয়েছিল। ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলেই ছিল সেই প্রশিক্ষণকেন্দ্র।

শত্রুপক্ষের ডুবুরিকে চিহ্নিত করা বা সমুদ্রের নীচে বিস্ফোরক চিহ্নিত করা এবং তা উদ্ধার করে নিয়ে আসার কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ডলফিনগুলোকে। এমনকি, সমুদ্র্রের তলায় বিস্ফোরক বসানোর জন্যও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাদের।

২০১৪ পর্যন্ত ক্রিমিয়া ছিল ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে। ফলে ডলফিন প্রশিক্ষণকেন্দ্রের কথা ইউক্রেনের অজানা নয়। গত সপ্তাহের গোড়া থেকে স্নেক আইল্যান্ড-সহ কৃষ্ণসাগরের কয়েকটি রুশ নৌঘাঁটি দখলের জন্য অভিযান শুরু করেছে ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুগত বাহিনী। ঘটনাচক্রে তখন থেকেই বাড়াতে শুরু করেছে ডলফিনের মৃত্যুর হার।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?