স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৩ মে।। রাজ্যের জনগণের সুরক্ষায় রাজ্যে ফায়ার এন্ড ইমারজেন্সি সার্ভিসেস অ্যাক্ট, ২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে। সচিবালয়ের কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলনে অগ্নিনির্বাপক ও জরুরী পরিষেবা দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় অগ্নি নির্বাপক ও জরুরী পরিষেবা দপ্তরের এই সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সচিব আরও জানান, এতদিন পর্যন্ত ওয়েষ্টবেঙ্গল ফায়ার সার্ভিসেস অ্যাক্ট, ১৯৫০ আইন অনুসারে কাজ চলছিল। কিন্তু এতে কিছু সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছিল। এই সমস্যার নিরসনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ‘সংশোধিত মডেল ফায়ার এন্ড ইমারজেন্সি সার্ভিসেস বিল ২০১৯’ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শক্রমে রাজ্যে ‘ফায়ার এন্ড ইমারজেন্সি সার্ভিসেস অ্যাক্ট, ২০২২’ প্রণয়ণ করা হয়েছে। তিনি জানান, এই আইন প্রণয়নের ফলে জনসাধারণ অতি সহজ পদ্ধতিতে অনলাইনের মাধ্যমে ফায়ার এনওসি নিতে পারবে। কাউকেই অফিসে যেতে হবে না। স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ে ফায়ার এনওসি অনলাইনের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও জানান, এই আইন প্রণয়ন করার ফলে রাজ্যে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যে অপর্যাপ্ত এবং ত্রুটিপূর্ণ দিকগুলি ছিল সেগুলিরও নিরসন হবে। তিনি জানান, ফায়ার এনওসি দুইটি ক্যাটাগরিতে প্রদান করা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত অগ্নিনির্বাপক এবং জরুরী পরিষেবা দপ্তরের অধিকর্তা জানান, এতদিন পর্যন্ত রাজ্যে ন্যাশানাল বিল্ডিং কোড মেনে চলা হত। এখন থেকে ত্রিপুরা ফায়ার এন্ড ইমারজেন্সি সার্ভিসেস অ্যাক্ট, ২০২২ আইন অনুসারে রাজ্যের বিল্ডিং আইনও মেনে চলা হবে।
তিনি বলেন, ফায়ার ইনওসি আদেশপত্র যাচাই করার পর সবকিছু সঠিক থাকলে ২৮ দিনের মধ্যে এনওসি শংসাপত্র প্রদান করা হবে। তিনি জানান, ত্রিপুরা ফায়ার এন্ড ইমারজেন্সি সার্ভিসেস অ্যাক্ট, ২০২২ এ দপ্তর সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং জনগণের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার্থে আবশ্যিক সব বিধান রাখা হয়েছে। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার, সিভিল ডিফেন্সের মতো স্বেচ্ছাসেবকদের অগ্নি ও জরুরী পরিষেবায় সাহায্যকারী হিসেবে নিযুক্ত করার বিধানও এই অ্যাক্ট-এ রাখা হয়েছে।