স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৩ মে।। আমরা বিভিন্ন সময়ে বস্ত্রদান করি। খাদ্যসামগ্রী দান করি, জল দান করি, অর্থ দান করি। এ সব কাজের মাধ্যমে আমরা আমাদের সামাজিক কর্তব্য পালন করি। রক্তদান হল এসব সামাজিক কর্তব্যের মধ্যে সবচাইতে মহান কাজ।
আজ জিরানীয়ার অগ্নিবীনা মিলনায়তনে মেগা রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রক্তদান শিবিরে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ ৪৫ স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আজকাল অন্নপ্রাশন, শ্রাদ্ধানুষ্ঠান প্রভৃতি সামাজিক অনুষ্ঠানেও স্বেচ্ছায় রক্তদানের আয়োজন করা হয়। এসব খুবই ভাল উদ্যোগ। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, ‘জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
তিনি বলেন, ১৮ থেকে ৬০ বছরের যে কোন সুস্থ ব্যক্তি রক্তদান করতে পারেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তি, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী, থেলাসেমিয়া রোগী, রক্তাপ্লতায় আক্রান্ত রোগীদের অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসার জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিনিয়ত রক্তের প্রয়োজন। রক্তদান করার মাধ্যমে আমরা ঐসব রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে পারি। তিনি বলেন, রক্তদান করে আমরা যেমন অন্যের প্রাণ বাঁচাতে পারি তেমনি আমরা নিজেরাও জানতে পারি আমাদের কোন শারীরিক সমস্যা আছে কিনা। কারণ রক্তদান করার পর সেই রক্ত সংরক্ষণ করার আগে বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা করা হয়।
রক্তদান শিবিরে এছাড়া বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ষন। তিনি বলেন, প্রতিটি জেলা অফিস থেকে শুরু করে ব্লকস্তর পর্যন্ত রক্তদান শিবির করার জন্য একটি ক্যালেন্ডার তৈরী করা হয়েছে। সেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আজ জিরানীয়া মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।
বক্তব্য রাখেন জিরানীয়া নগরপঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন রতন কুমার দাস। সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জিরানীয়া মহকুমার মহকুমা শাসক জীবন কৃষ্ণ আচার্য। উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, বিশিষ্ট সমাজেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক প্রমুখ। রক্তদান শিবিরে বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা এবং বিভিন্ন অফিসের কর্মচারিগণ স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন।