অনলাইন ডেস্ক, ১২ মে।। এই প্রথম যুদ্ধপরাধের মামলা শুরু করল ইউক্রেন। ৬০০ রুশ সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
দুদিন আগেই জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইউক্রেনের প্রসিকিউটার জেনারেল ইরিনা ভেনেডিকটোভা জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তথ্য সংগ্রহ করছেন তিনি। বুধবার রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা শুরু করেন তিনি। এই প্রথম ইউক্রেন এই পদক্ষেপ নিল।
ইরিনা জানিয়েছেন, তার হাতে পুঙ্খানপুঙ্খ তথ্য আছে। আরো তথ্য হাতে আসছে। তারই ভিত্তিতে মামলা করা হচ্ছে।
২১ বছর বয়সী রাশিয়ার অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই অফিসার একটি ট্যাঙ্ক বাহিনী নিয়ে উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের এক শহরে ঢুকছিল। সে সময় সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন নিরস্ত্র এক বৃদ্ধ। কোনো প্ররোচনা ছাড়া ওই অফিসার বৃদ্ধকে লক্ষ্য করে গুলি করে। বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান-সহ এমন আরো অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছেন ইরিনা। সব মিলিয়ে ১০ হাজার ৭০০ যুদ্ধাপরাধের ঘটনা ঘটেছে বলে তার দাবি। এরমধ্যে ধর্ষণের ঘটনাও আছে। এখনো ৬০০ রুশ অফিসারের বিরুদ্ধে তথ্য মিলেছে।
বেআইনি অস্ত্রের ব্যবহার
রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই তরফই একটি বিশেষ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ। ২০০৮ সালে একটি কনভেনশনের মাধ্যমে ওই অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছিল। যদিও ইউক্রেন এবং রাশিয়া তাতে যোগ দেয়নি।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ওই বোমাটি বাতাসে ফাটার পর তার ভিতর থেকে অসংখ্য বোমব্লেটস বা ছোট ছোট বোমা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। একটা বড় এলাকা জুড়ে বিস্ফোরণ হতে থাকে। এরফলে বেসামরিক মানুষের আহত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুইপক্ষই এই বোমার ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের। ইউক্রেন বা রাশিয়া কেউই এবিষয়ে মুখ খোলেনি।