স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১০ মে।। আগরতলা রেল স্টেশনে সন্দেহমূলকভাবে তাদের ঘুরাফেরা করতে দেখে রেল পুলিশ ৩ জনকে আটক করে। খবর পেয়ে ছুটে আসে আমতলি থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত নথিপত্র যাচাই করা হচ্ছে। বুধবার তাদের আদালতে পেশ করা হয়। রোহিঙ্গা নাগরিকরা দিল্লির উদ্দেশ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।
প্রসঙ্গত, রবিবার সকাল বেলা কামথানা সীমান্ত এলাকায় ডিউটিরত বিএসএফ জোয়ানরা ১৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে৷ রোহিঙ্গাদের কামথানা বি ও পি তে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি এবং প্রাথমিক তদন্ত করার পর বেলা ২টা নাগাদ এদেরকে মধুপুর থানা ট্রান্সফার করা হয়৷ আটককৃত রোহিঙ্গারা হলেন শেখ আহমেদ,নূর বেগম,মোহাম্মদ ইব্রাহিম,নূর খালিমা,মো:ইসমাইল,মো:অনুজ,আনোয়ারা বেগম,রোহানা আক্তার,হালেদা বেগম, আবু বাক্কার, এনায়েতুল্লাহ, এবং জাহানারা আক্তার৷ মধুপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদে আশ্চর্যজনক তথ্য বেরিয়ে আসে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে৷
পুলিশ জানতে পারে উল্লেখিত রোহিঙ্গারা জম্মু-কাশ্মীর থেকে এসেছে৷ শনিবার সন্ধ্যার ট্রেনে এরা আগরতলা স্টেশনে আসে৷ সেখান থেকে মারুতি গাড়ি করে পাচারকারীরা রহিমপুর সীমান্তে নিয়ে আসতে থাকে৷ এই সময় কলমচৌড়া থানার ওসি বিষ্ণুপদ ভৌমিক কড়ইমুড়া এলাকায় গাড়িটি দেখে সন্দেহ হয়৷ পুলিশের গাড়ি দেখে রোহিঙ্গা বহনকারী গাড়িটি দ্রুতগতিতে পালাতে থাকে৷ ও সি গাড়ির পেছনে ধাওয়া করে এসে বক্সনগর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুলাল শীলের বাড়ির পাশে গাড়িটি আটক করে৷গাড়ির চালক সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷ ওসি কোন অঙ্গাত কারনে সেখানে থেকে রোহিঙ্গাদের কে ছেড়ে চলে আসে থানাতে৷
ওসির বাহক হিসেবে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বক্সনগর এলাকার নামধারী ৩জন সাংবাদিক৷এরা রোহিঙ্গাদের কে নিয়ে যায় স্থানীয় কুদ্দুস মিয়ার বাড়িতে৷সেখানে রাতের খাবার খাওয়া-দাওয়ার করার পর রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তাদেরকে পুটিয়া সীমান্তে নিয়ে যায় নামধারী সাংবাদিকরা৷ সেখানে মিলিত হয় পাচারকারীদের সাথে৷ পাচারকারীদের কাছে রোহিঙ্গাদের হস্তান্তর করে নামধারী সাংবাদিকরা চলে আসে৷
শত চেষ্টা করেও পাচারকারী রাতের বেলায় রোহিঙ্গাদের কে বাংলাদেশে পাঠাতে পারিনি৷ এই অবস্থায় রবিবার ভোর বেলায় পুটিয়া থেকে উল্লেখিত রোহিঙ্গাদের কে নিয়ে যায় কামথানা এলাকায়৷ সীমান্তে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে গেলে সেখানে ডিউটিরত বিএসএফ জওয়ানরা উল্লেখিত রোহিঙ্গাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়৷ মধুপুর থানাতে রেখে পুলিশ রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করছেন এরা কিভাবে কাশ্মীরে গিয়েছিল এবং সেখানে তারা কি কাজ করে৷এদেরকে কোন কোন পাচারকারী বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য সীমান্তে নিয়ে এসেছিল৷ আশা করা হচ্ছে এদের কাছ থেকে তদন্ত পর্বে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে৷