অনলাইন ডেস্ক, ৭ মে ।। ২০১৫ সালে শিবপ্রসাদ-নন্দিতার পরিচালনায় বাংলা সিনেমা জগতে মুক্তি পেয়েছিল একটি মাস্টারপিস। নাম ‘বেলা শেষে’। অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, অপরাজিতা আঢ্য, খরাজ মুখার্জি, মনামি ঘোষ, অনিন্দ্য চাটার্জী, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও সুজয় বন্দোপাধ্যায় সহ একঝাঁক তারকা।
আর এবছর ২০২২ সালে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবির সিক্যুয়েল ‘বেলা শুরু’। এই ছবি এবং ছবির বর্তমান সিক্যুয়েল টলিউডে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
এই নতুন ছবির প্রচারেই মজার আড্ডায় সামিল হয়েছেন অত্যন্ত মজার অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায়। আর সেই আড্ডাতেই সহ অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের দিয়েছেন দারুণ মজার মজার নাম।
‘বেলা শেষে’ সিনেমায় সৌমিত্র এবং স্বাতীলেখার বড় জামাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন খরাজ। বাস্তবে তিনি যেমন রসিক এবং মজার চরিত্রের মানুষ, অনস্ক্রিনেও তার চরিত্রটি ছিল ঠিক সেরকমই। ছবির প্রচারের উদ্দেশ্যে খরাজ মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে বানানো একটি ভিডিও নিয়েও বর্তমানে জল্পনা তুঙ্গে।
ছবির যে দুই মুখ্য তারকা আজ আর পৃথিবীতে নেই তারা হলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করা স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। খরাজ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে রাবড়ি এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্তকে পান্তুয়া নাম দিয়েছেন।
ছবির পরিচালক শিবপ্রসাদ হলেন জলভরা সন্দেশ, কারণ তার বাইরে শক্ত কিন্তু মনটা নরম এবং নন্দিতা রায় হলেন নলেন গুড়। ঠিক যেন একে অপরের দোসর।
অন্যদিকে তাঁর পর্দার ছোট শ্যালিকা মনামী ঘোষকে তিনি বোঁদে কিংবা মিহিদানা বলে সম্মোধন করেছেন। প্রদীপ ভট্টাচার্য হলেন বহরমপুরের ছানাবড়া কিংবা কালোজাম।
আর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে যেহেতু চট করে দেখলে বোঝা যায় না যে তার ভিতরে কি চলছে, তাই তিনি পুরীর জিভে গজার মত রহস্যজনক। তারপর শংকর চক্রবর্তীকে মোরব্বা এবং সুজয় চট্টোপাধ্যায়কে কালাকাঁদ বলেছেন তিনি।
তবে মুশকিল হয়েছে মেজ শ্যালিকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে। সেক্ষেত্রে তিনি রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্য করেন যে ঋতুপর্ণা হলেন জিলিপি!
পরক্ষণেই অবশ্য নিজের ভুল করে সংশোধন করে বলেছেন, জিলিপিতে প্যাঁচ খুব বেশি থাকে না, তাই ঋতুপর্ণা হলেন অমৃতি! তাঁর ক্রিয়াকলাপ বোঝা খুব কঠিন। ঋতুপর্ণার মনে যে কি আছে তাও বোঝা দায়! তাই তিনি অমৃতির মতোই প্যাঁচালো।