অনলাইন ডেস্ক, ৬ মে।। ইউক্রেনের মারিউপোলে অবরুদ্ধ আজভস্তাল ইস্পাত কারখানা থেকে তৃতীয় দফায় শুক্রবারের মধ্যে আরও কিছু বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর বিবিসির।
এই কারখানার বাঙ্কারের মধ্যে প্রায় ২০০ বেসামরিক লোক আটকে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ বন্দর মারিউপোলের এই ইস্পাত কারখানা রুশ বাহিনীর অবরোধের মুখে পড়েছে। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী তাদের প্রতিরোধে আপ্রাণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরাস বলেন, এই নরককুণ্ড থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনতে সবকিছু করা উচিত।
জাতিসংঘের প্রধান জানিয়েছেন, শহর থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য শুক্রবার তৃতীয় দফায় অভিযান চলছে।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, এই উদ্ধার অভিযান দুপুর গড়াবে।
রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট অবরুদ্ধ দক্ষিণ শহর মারিউপোল এবং বিশাল ইস্পাত কারখানা থেকে কিছু লোকজন সরানোর অনুমতি দিতে সম্মত হন, যেখানে শত শত বেসামরিক লোক আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় কয়েকদিনে আজভস্টালের ভেতরে ১০১ জন বেসামরিক নাগরিক এবং এর কাছাকাছি অঞ্চল থেকে আরও ৪০০ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন যে, তাদের বাহিনী বেসামরিক লোকদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে প্রস্তুত। তবে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের অবশ্যই আত্মসমর্পণ করতে হবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ইতোমধ্যে মারিউপোলে বিজয় ঘোষণা করেছেন। তিনি তার বাহিনীকে বিস্তৃত শিল্প এলাকায় মানুষের চলাচল বন্ধ করে দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই শিল্প এলাকাটি স্নায়ুযুদ্ধের সময় একটি পারমাণবিক বাঙ্কার হিসেবে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। এর মাটির নিচে গভীর সুড়ঙ্গের নেটওয়ার্ক রয়েছে।
তবে সেখানে রাশিয়ার আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে স্টিলওয়ার্কের ভেতরে থাকা ইউক্রেনীয় বাহিনী।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় বাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হয়ে রুশ বাহিনী দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে অভিযান জোরদার করে।