অনলাইন ডেস্ক, ৫ মে।। মঠাধ্যক্ষকে পালকি তে কাঁধে নিয়ে এলাকা পরিভ্রমণ করেন ভক্তরা। বহু শতাব্দী ধরে এই “পত্তিনম প্রবেশম” প্রথা চলে আসছে তামিলনাড়ুর মাইলাদুথুরাই জেলায়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ধর্মপুরম অধিনাম বলে একটি মঠ। শৈবদের পরম তীর্থক্ষেত্র বলে পরিচিত এই ধর্মপুরম অধিনাম মঠ। কিন্তু চলতি এই প্রথা পালনের অনুমতি দেয়নি মাইলাদুথুরাই জেলা প্রশাসন। তাই নিয়ে বেঁধেছে বিরোধ।
আগামী ২২শে মে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা আছে। তবে অনেকের মতে এই ধরনের কর্মসূচি পালন করা মানে তা মানবাধিকার হরণের সমান। এই আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভক্তরা ধর্মপূরম আধিনাম অর্থাৎ সংঘের প্রধানকে একটি রুপোর সিংহাসনে বয়ে নিয়ে যান। এটি পাট্টিনা প্রবেশম বা পত্তিনম প্রবেশম বলেও পরিচিত।
জেলা প্রশাসনের যুক্তি, ধর্মপুরম অধিনামের এই প্রথা মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। । তাই এটা চলতে দেওয়া যায় না। তাছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কাও করেছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরেই বিধানসভায় এম কে স্ট্যালিন সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি ও এইডিএমকে।বিতর্কের প্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী পি কে সেকর বাবু বলেন, ‘মঠাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তারপরেও নেভেনি ক্ষোভের আঁচ।
জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিএমকে সরকারের সমালোচনা করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাই। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে তিনি নিজেই পালকি বাহক হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
অন্যদিকে মাইলাদুথুরাই জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ধর্মপুরম অধিনাম মঠের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মাদুরাই অধিনাম বলে একটি মঠ।
মাদুরাই অধিনামের মঠাধ্যক্ষ বলেন, ‘প্রাচীন এই মঠের ধর্মীয় প্রথাকে সম্মান জানানো উচিত। এর বিরোধিতা করা ঠিক হবে না।’ এ বছরও যাতে অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।
মাদুরাই অধিনাম মঠের মঠাধ্যক্ষ আরও বলেন এটি হল ছাত্রদের গুরুকে বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের একটি রীতি। গুরুদক্ষিণাও বলা যেতে পারে। ব্রিটিশ আমল থেকে এই প্রথা চলে আসছে। কোনদিনই আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়নি।