স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৪ মে।। রবীন্দ্র জয়ন্তী ও নজরুল জন্মজয়ন্তী এবছর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, সমবেত আবৃত্তি, নৃত্য ও সংগীত প্রতিযোগিতা, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে এবং অন্যান্য দপ্তরের সহযোগিতায় এই কর্মসূচিগুলি আয়োজিত হবে। এ উপলক্ষে আজ তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তার কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক পর্যালোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের বিকল্প নেই। তাঁদের সৃষ্টির চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে রাজ্যের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল আরও এগিয়ে যাবে বলে সভা শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, আগামী ৮ ও ৯মে দু’দিনব্যাপী ১৬১তম রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন করা হবে। ৮ মে সকাল ৯টায় বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, ১২টায় চিত্র প্রদর্শনী ও সমবেত আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, ২টায় সমবেত সংগীত প্রতিযোগিতা এবং ৬টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রখ্যাত শিল্পীগণ অংশগ্রহণ করবেন।
রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এই কর্মসূচিগুলি আয়োজিত হবে। এছাড়া ৯ মে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালনের মূল কর্মসূচি সকাল ৭টায় রবীন্দ্র কাননে প্রভাতী কবি প্রণামের মাধ্যমে সূচনা হবে। এরপর সকাল সাড়ে ১১টায় তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, ১টায় ক্যুইজ, ২টা ৩০মিনিটে সমবেত নৃতা প্রতিযোগিতা রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২নং হলঘরে অনুষ্ঠিত হবে। ৪টায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১নং হলে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে। সন্ধ্যা ৬টায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১নং হলে মূল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এতে পশ্চিমবঙ্গের প্রথিতযশা রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী জয়তী চক্রবর্তী, মনোময় ভট্টাচার্য ও বাচিক শিল্পী দেবেশ ঠাকুর রবীন্দ্র সংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করবেন।
২৬ মে নজরুল জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নজরুল কলাক্ষেত্রস্থিত কাজী নজরুল ইসলামের আবক্ষ মূর্তির পাদদেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান করা হবে। ৩০ মে এ উপলক্ষে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১নং হলে বিশেষ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হবে। এতে পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য সহ রাজ্যের বিশিষ্ট শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আরও বলেন, উভয় কর্মসূচিতেই বাংলাদেশের শিল্পীদেরও অংশগ্রহণের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই সকল অনুষ্ঠান রাজ্যের প্রত্যেকের জন্যই উন্মুক্ত। তিনি আশা প্রকাশ করেন এবছর গৃহীত কর্মসূচিগুলি রাজ্যের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের বিকাশে নতুন বার্তা বয়ে আনবে এবং সকলের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানগুলি কাঙ্খিত সফলতা লাভ করবে।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত, রাজ্য উচ্চশিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. অরুণোদয় সাহা, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব পি কে গোয়েল ও অধিকর্তা রতন বিশ্বাস, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ দেব প্রমুখ।