স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৩ মে।। ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় উৎসব গুলোর মধ্যে ঈদুল ফিতর হয়েছে অন্যতম। কারণ দীর্ঘ একমাস সিয়াম বা রোজা পালনের পর মুসল্লীরা ঈদ উদযাপন করতে পারে এবং নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারে। তবে কেউ কেউ ঈদুল ফিতরকে রোজার ঈদ বলে থাকে। যুদ্ধে মুসলমানদের এটি অন্যতম বড় উৎসব এবং এই উৎসবের সকল ভেদাভেদ ছিন্ন করে সকলে একত্রিত হয়ে একসাথে এই উৎসব পালন করে সেহেতু এই উৎসবকে ঘিরে নানা ধরনের আয়োজন করা হয়।
ঈদকে কেন্দ্র করে নতুন পোশাক কেনা এবং সেই পোশাক পরিধান করে ঈদের সালাত আদায় করা সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাধু খাবার তৈরি করা এবং আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী সকল শ্রেণীর মানুষের সাথে এই আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার নামই হচ্ছে ঈদ। তারই অঙ্গ হিসেবে সোনামুড়া মহকুমার বিভিন্ন ঈদগাহ ময়দানে মঙ্গলবার সকাল থেকেই শান্তি শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। গোটা মহকুমা জোরে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা নেই বললেই চলে। জানা যায় বক্সনগর ব্লকের অন্তর্গত উত্তর বক্সনগর জামে মসজিদের ঈদগাহ ময়দানে প্রথম সকাল ছয় ঘটিকার সময় নামাজ আদায় করা হয়। তারপর বক্সনগর এর দক্ষিণ পাড়ার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৭.৩০ মিনিটে নামাজ অনুষ্ঠিত করা হয়।
এদিন বক্সনগর এর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ চলাকালীন সময়ে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। এদিন বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই মুসুল্লিরা নামাজ আদায় করেন। এদিন রাজ্যের অন্যান্য মসজিদ এর সাথে পাল্লা দিয়ে মেলাঘর কলমক্ষেত মুড়াপাড়া জামে মসজিদে সংঘটিত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ।গত দু’বছর করোণার মহামারীর কারণে সারা বিশ্ব জুড়ে স্বাভাবিকভাবে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা ঈদের নামাজ সংগঠিত করতে পারেনি। কিন্তু এবারে করুনার প্রকোপ যদিও সম্পূর্ণ ভাবে মুক্ত হয়নি ,তারপরও এবার ঈদের নামাজ কে কেন্দ্র করে মুসলিম ভাইদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। জানা যায় সোনামুড়া মহাকুমার কলমখেত জামে মসজিদে মঙ্গলবার সকাল সাত ঘটিকার সময় ঈদের নামাজ সংঘটিত হয়। এ দিন নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। যার যার বিভিন্ন পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং সারাদেশের মানুষের সাথে যাতে ভাতৃত্ববোধ রক্ষা করার জন্য প্রার্থনা করা হয়।
ঈদের নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে আলিঙ্গন করে বিগত দিনে হিংসা বিভেদ যাহা কিছু থাকে সবকিছু যাতে ভুলে যায়। এদিকে ঈদের নামাজে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটতে পারে, সেই কারণে মেলাঘর থানার ওসি নিজে দায়িত্ব নিয়ে পুলিশ পেট্রোলিং নিয়ে বেরিয়ে পরেন। সবকিছু মিলিয়ে সব জায়গাতে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের নামাজ শেষ হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে কলমক্ষেত মুড়াপাড়া জামে মসজিদের ইমাম সাহেব এক সাক্ষাৎকারে ঈদের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সারাদেশে যাতে ভাতৃত্ববোধ রক্ষা থাকে এবং হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে ঐক্য যাতে নষ্ট না হয় সে বিষয়ে তিনি কথা বলেন।