স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২ মে।। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাকে চোখের ছানি মুক্ত করার লক্ষ্যে রোশনী অভিযানের মাধ্যমে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আজ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক কার্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে জেলাশাসক ও সমাহর্তা দেবপ্রিয় বর্ধন জানান, রোশনী অভিযানের মাধ্যমে আগামী ৬ মাসের মধ্যে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাকে চোখের ছানি মুক্ত জেলায় পরিণত করার লক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাকে জনসাধারণের ঘরে ঘরে পৌঁছানো এবং চিকিৎসা পদ্ধতির সরলীকরণের কাজ এগিয়ে চলছে। তিনি জানান, গত ২৭ এপ্রিল জিরানীয়া ব্লকভিত্তিক স্বাস্থ্যমেলায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই কর্মসূচির সূচনা করেন।
জিরানীয়া, মোহনপুর এবং সদর মহকুমায় ধাপে ধাপে রোশনী অভিযানের মাধ্যমে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাকে চোখের ছানি মুক্ত করার কাজ সম্পন্ন হবে। এই কাজে প্রাথমিকভাবে আশাকর্মীগণ বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করবেন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে কয়েকটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ভিত্তি করে সমীক্ষা কর্মসূচি হবে। চূড়ান্ত পর্বে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চক্ষু বিশেষজ্ঞরা চূড়ান্ত তালিকা তৈরী করে শিবিরের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূলো ছানি অপারেশন করবেন। পরবর্তী ৪৫ দিন রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবার আওতায় থাকবেন। এই কর্মসূচির সুবিধা গ্রহণের জন্য তিনি রোগীদের প্রতি আহ্বান জানান।
পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক ও সমাহর্তা আরও জানান, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দ্বারা মিশন মুডে শারিরীক প্রতিবন্ধী চিহ্নিতকরণ অভিযান শুরু হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ডিডিআরসি’র শিবির করে দিব্যাঙ্গজনদের সুবিধার্থে ইউনিক আইডি বা এক দেশ এক সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. দেব দাস, কন্ট্রোল প্রোগ্রাম আধিকারিক ডা শ্যামরূপ ভট্টাচার্য এবং সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক ডা. চন্দ্রানী বিশ্বাস প্রমুখ।