অনলাইন ডেস্ক, ২মে।। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কক্ষে বসে পর্নোগ্রাফি দেখার দায় স্বীকার করে শাসকদল কনজারভেটিভ পার্টির একজন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করছেন।
বিবিসি জানায়, পার্লামেন্টে খোলামেলা যৌন দৃশ্য দেখার অভিযোগে ইংল্যান্ডের ডেভন এলাকার এমপি নিল প্যারিসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর পরই তিনি পদত্যাগ করেন।
এদিকে, ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল জানায়, এ ঘটনায় নিল প্যারিসের স্ত্রী সুসান প্যারিস স্বামীর পাশে দাঁড়িয়েছেন।
নিল প্যারিস বলছেন, সংসদ কক্ষে বসে মোবাইল ফোনে ট্রাক্টরের ভিডিও দেখতে গিয়ে তিনি প্রথমবার ভুল করে পর্ণ ভিডিও দেখে ফেলেন। তিনি স্বীকার করেন, কিন্তু পরে তিনি ইচ্ছে করেই সেগুলো আবার দেখেন।
বিবিসির সাথে সাক্ষাৎকারে প্যারিস বলেন, সেটা ছিল এক সাময়িক উন্মাদনা।
এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরুর পরপরই প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে এমপির পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন প্যারিস।
বাষট্টি-বছর বয়স্ক এই সংসদ সদস্য পার্লামেন্ট কক্ষে বসে যখন পর্ণ দেখছিলেন তখন তার পাশে বসা দুজন নারী সহকর্মী ব্যাপারটা দেখে ফেলেন। তারা এ নিয়ে অভিযোগ করার পর তুমুল হইচই শুরু হয়।
প্যারিস বিবিসিকে বলেন, আমার সবচেয়ে বড় অপরাধ ছিল (পর্নসাইটে) দ্বিতীয়বার যাওয়া। সেটা ছিল চরম ভুল এক কাজ। সারা জীবন আমাকে এই ভুলের বোঝা বয়ে বেড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমি ভুল করেছি। আমি বোকামি করেছি, আমি বোধ-শূন্য হয়েছিলাম।
গত বুধবার নিল প্যারিসের পার্লামেন্ট কক্ষে বসে পর্নোগ্রাফি দেখার বিষয়টি প্রকাশ পায়। এরপর শুক্রবার তার দল কনজারভেটিভ পার্টি তাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে।
নীল প্যারিসের স্ত্রী সুসান প্যারিস তার স্বামীর বিরুদ্ধে তদন্তের কথা স্বীকার করে বলেছেন, ‘‘খুব কম পুরুষ আছেন যারা পর্নোগ্রাফি দেখেননি।
তিনি আরও বলেন, এই স্ক্যান্ডালের ঘটনা তাদের বিবাহিত জীবনে প্রভাব ফেলতে না পারলেও ঘটনাটি বিব্রতকর।
অভিযোগ সম্পর্কে শোনার পর সুসান বলেন, আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। যদিও তিনি তার স্বামীকে রক্ষা করে বলেন, সে আসলেই একজন সাধারণ মানুষ। তিনি একজন সুন্দর মানুষ। এটা খুবই বোকা।
তিনি আরও বলেছিলেন, পর্নোগ্রাফি দেখা উচিত নয়।