স্টাফ রিপোর্টার, কাঞ্চনপুর, ২৮ এপ্রিল।। পুঁথিগত শিক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। এই শিক্ষাই তাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন করে তুলবে। পারিপার্শ্বিক ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে সাহায্য করবে। আজ কাঞ্চনপুর টাউনহলে কলেজস্তরের ছাত্রছাত্রীদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় একথাগুলি বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি পরীক্ষা পে চর্চা নামক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সাথে মত বিনিময় করেছেন। দীর্ঘ সময় তিনি ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানটিকে সকল ছাত্রছাত্রীদের দেখার জন্য আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ছাত্রছাত্রীদের ভয়মুক্ত হতে হবে, দিনের নির্দিষ্ট রুটিন মেনে কাজ করতে হবে। নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থাকতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ নতুন দিশায় এগিয়ে যাচ্ছে। দেশকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলছেন প্রধানমন্ত্রী। এক সময় শুধু নতুনত্বের কথা বলা হত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তা করে দেখিয়েছেন। তিনি নতুন মানসিকতায় নতুন সৃষ্টিতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীতে সবাইকে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরাও আজ নতুন দিশায় এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৫ বছরে ত্রিপুরার উন্নয়নের রূপরেখা তৈরী করা হয়েছে। আগামী ২৫ বছরে ত্রিপুরার কোন কোন ক্ষেত্রে কি কি উন্নয়ন হবে, মানুষের জীবনমান তখন কীধরণের হবে, জিডিপি কত হবে তার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে এই রূপরেখার মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ছাত্রছাত্রীদের এগুলি জানতে হবে। এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে তাদের কোর্স নির্বাচন করতে হবে। তবেই লেখাপড়ার শেষে কাজের সুযোগ হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরার কোন ছেলেমেয়ের মুখে বেকার শব্দটি যেন উচ্চারিত না হয় সেই লক্ষে সরকার কাজ করছে। বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প চালু হয়েছে রাজ্যে। ছাত্রছাত্রীদের গুণগত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যেই এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দীর্ঘবছর পর দেশে নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে এসেছেন। অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থায় করা হয়েছে আধুনিকীকরণ। এই নতুন শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষায় পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাদানের ব্যবস্থা রয়েছে ভোকেশনাল কোর্স। বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সাথে সাথে এই ভোকেশনাল কোর্স পড়ানো হবে। ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া শেষ করে রোজগারের সাথে যুক্ত হতে পারবে। রোজগারের মানসিকতা ব্যক্তিকে স্বনির্ভর করে তুলবে। স্বনির্ভরতার উপর ভিত্তি করেই আত্মনির্ভর দেশ গড়ে উঠবে।ছাত্রছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে কাঞ্চনপুর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীগণ অংশ নিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা নাগেশ কুমার বি, এসপি ড. কিরণ কুমার কে, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা নৃপেন্দ্র চন্দ্র শর্মা, কাঞ্চনপুর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. আর দার্লং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।