স্টাফ রিপোর্টার, কাঞ্চনপুর, ২৮ এপ্রিল।। রাজ্যে গুণগত শিক্ষার মান উন্নয়নে ১২৫টি বিদ্যালয়কে মিশন বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় শিক্ষার সম্প্রসারণ ও গুনগত শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে।
আজ কাঞ্চনপুর মহকুমার পশদা ব্লকের বড়ছড়াতে ১০০ আসনবিশিষ্ট নবনির্মিত ছাত্রাবাসের দ্বারোদঘাটন করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক প্রেম কুমার রিয়াং, এমডিসি শৈলেন্দ্র নাথ, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. বিশাল কুমার, উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক নাগেশ কুমার বি জেলার পুলিশ সুপার ড. কিরণ কুমার কে, জেলার কল্যান আধিকারিক হেমন্ত দেববর্মা, কাঞ্চনপুর মহকুমার মহকুমা শাসক সুভাষ আচার্য, দশদা বিএসি চেয়ারম্যান জিরেন্দ্র রিয়াং প্রমুখ।
বড়ছড়াতে ছাত্রাবাসের দ্বারোদঘাটন উপলক্ষে বড়ছড়া হাইস্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, মিজোরাম থেকে আসা ব্লু অভিবাসী পরিবারগুলি দীর্ঘ ২৩ বছর যাবৎ কাঞ্চনপুরে বসবাস করছিলেন। পূর্বের সরকার তাদের সমস্যার সমাধান করেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ব্লু অভিভ্যসীদের স্থায়ী পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পরিসুত পানীয়জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য জল জীবন মিশন সূচনা করেছেন। রাজ্যে জল জীবন মিশনে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশের বেশী পরিবারে পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিদ্রুত পানীয়জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের এডিসিভুক্ত জনপদগুলিকে জাতীয় সড়কের সাথে যুক্ত করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়তে হলে দশদা কাঞ্চনপুরেরও সার্বিক বিকাশ ঘটাতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচেষ্টায় রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (গ্রামীণ) ২ লক্ষ ২৮ হাজার পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। কোভিড অতিমারীর সময়েও প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় রাজ্যে বিনামূলো রেশনিং খাদ্যসামগ্রী সহ কোভিভ টিকাকরণ প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিধায়ক প্রেম কুমার রিয়াং বলেন, রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় পিছিয়েপড়া জনজাতি অংশের ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে হোস্টেল নির্মাণ করা হচ্ছে। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা ছাড়া জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, এই নবনির্মিত ছাত্রাবাসের নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৫৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৭৮৯ টাকা। অনুষ্ঠানের পরে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব দশদা ব্লকের অন্তর্গত আনন্দবাজারস্থিত রতনমুনি আশ্রম পরিদর্শন করেন।
সেখানে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রীর মার্গ দর্শনে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছে। কিন্তু তার আগে দীর্ঘ সময়কাল রাজ্যের সর্বাঙ্গীন বিকাশে ঠিকভাবে কাজ হয়নি। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বিভিন্ন প্রকল্প তথা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা, জল জীবন ও অটল জলধারা মিশনের মাধ্যমে রাজ্যের নাগরিকদের অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মহিলাদের সশক্তিকরণের প্রয়াস নিয়েছে। রতনমুনি আশ্রম পরিদর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক প্রেম কুমার রিয়াহ্, দশদা বিএসি চেয়ারম্যন জিরেন্দ্র রিয়াৎ, উত্তর জলার জেলাশাসক নাগেশ কুমার বি, জেলার পুলিশ সুপার ড. কিরণ কুমার কে, কাঞ্চনপুর মহকুমার মহকুমা শাসক সুভাষ আচার্য, রতনমুনি সেবাশ্রমের কর্মকর্তাগণ।