অনলাইন ডেস্ক, ২৭ এপ্রিল।। গাজা উপত্যকায় সৌন্দর্য, প্রেম ও যুদ্ধের এক পাথরের প্রাচীন মূর্তি পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৪৫০০ বছরের পুরোনো এই মূর্তি ব্রোঞ্জ যুগের।
ফিলিস্তিনের প্রত্নতত্ত্ববিদেরা জানিয়েছেন, এটি প্রাচীন সেমেটিক কানানী ধর্মের দেবী আনাতের মস্তক।
জমি চাষ করতে গিয়ে এই মূর্তি আবিষ্কার করেন খান ইউনিস নামের গাজার দক্ষিণ উপত্যকার এক কৃষক।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই মূর্তি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকজন গাজাবাসী। তারা মনে করছেন, এই দেবীর সঙ্গে যুদ্ধের সম্পর্ক রয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, হামাস শাসিত গাজায় বেশ কয়েকবার ইসরায়েলি হামলার ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে নিজেদের দুর্দশার পেছনে এই মূর্তিকে দায় করছেন তারা।
চুনাপাথরের এই মূর্তির আবিষ্কার এটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে, কেমন ছিল ওই উপত্যকার ইতিহাস। যা ছিল প্রাচীন সভ্যতাগুলোর সফল গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পথ। সে সময় মূলত এই অঞ্চলের অধিবাসীরা ছিল কানানী ধর্মের।
২২ সেন্টিমিটারের (৮.৭ ইঞ্চি) দেবী মুখাবয়বের মূর্তিটির মাথায় রয়েছে সর্প মুকুট। এটি পাওয়ার প্রসঙ্গে আরেক কৃষক নিদাল আবু ঈদ বলেন, ‘আমরা এটা ঘটনাক্রমে পেয়েছি। এটা কাদায় মাখা ছিল এবং আমরা তা পানিতে পরিষ্কার করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুঝেছিলাম, এটা মূল্যবান বস্তু। তবে আমরা জানতাম না এর এত বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য আছে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমরা গর্বিত যে ফিলিস্তিনে কানানীয় যুগ হতে এটা আমাদের জমিতে ছিল।
কানানীয় দেবীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আনাতের এই মূর্তি এখন শোভা পাচ্ছে কাসার আল-বাশায়। গাজার কয়েকটি জাদুঘরের মধ্যে ঐতিহাসিক বস্তুর সংরক্ষণেল জন্য এই বিল্ডিংয়ের সুনাম রয়েছে।