অনলাইন ডেস্ক,২১ এপ্রিল।। দেখতে দেখতে একসঙ্গে পথ চলার ১৫ বছর পার করে ফেললেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন। বলিউডের অন্যতম আদর্শ দম্পতি তারা। সম্পর্কের সব চড়াই-উতরাই সাফল্যের সঙ্গে পার করেছেন অ্যাশ-অভি।
২০০৭ সালে বচ্চন পরিবারের ‘বহুরানি’ হয়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য। বচ্চনদের বান্দ্রার বাংলোতেই হয়েছিল সেই চর্চিত বিয়ের অনুষ্ঠান। হাজারো ক্যামেরা ওৎ পেতে বসেছিল বাড়ির সামনে, সঙ্গে উত্সুক মানুষের ভিড়। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি চার্জ পর্যন্ত করতে হয়েছিল মুম্বাই পুলিশকে।
বিয়ের পর বেশ কিছু সময় ঐশ্বর্য নিজেও উপলব্ধি করেননি বচ্চন পরিবারের বউমা হয়ে গিয়েছেন তিনি। এক সাক্ষাত্কারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন হানিমুনে যাওয়ার সময় আকাশপথে পুরো বিষয়টা সম্পর্কে অবগত হন তিনি।
ভোগ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ঐশ্বর্য জানিয়েছিলেন, ‘বোরা বোরা’তে হানিমুনে যাচ্ছি আমরা। আপনাকে স্বাগত জানাই-মিসেস বচ্চন, বিমানসেবিকা এমনটা বলা মাত্র আমি আর অভিষেক পরস্পরের দিকে চাইলাম, আর হাসিতে ফেটে পড়লাম! আমার কানে কথাটা বাজল, ‘আমার বিয়ে হয়ে গেছে! আমি মিসেস বচ্চন!’
নীল নয়নার রূপের জাদুতে শুরু থেকেই মুগ্ধ বচ্চন পুত্র। স্ত্রীর প্রশংসার কোনও সুযোগ হাতছাড়া করেন না অভিষেক। বরং খুঁজে নেন নিত্য নতুন বাহানা। সবসময় বউকে এগিয়ে রাখেন বচ্চন পুত্র।
এক সাক্ষাত্কারে জুনিয়র বচ্চন জানিয়েছিলেন, ‘পুরুষ হিসেবে আমার কাছে খুব আনন্দ এবং গর্বের বিষয় আমার বউকে এগিয়ে রাখা, ওর সাফল্যের অংশীদার হওয়া। যখন ও পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়, কিংবা কানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করে- সেটা আমার খুশির মুহূর্ত। আমি সেইসময় ওর এক সমর্থক। যারা বলে এটাতে পৌরুষত্ব হ্রাস পায়, সেটা বাজে কথা এবং খুব পিছিয়ে পড়া একটা ভাবনা’।
‘গুরু’, ‘রাবন’, ‘কুছ না কহো’, ‘ধাই অক্ষর প্রেমকে’, ‘ধুম ২’-এর মতো একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন অভিষেক-ঐশ্বর্য। তাদের একমাত্র সন্তান আরাধ্যা। ১০ বছরের আরাধ্যা অভিষেক-ঐশ্বর্যর নয়ণের মণি।