অনলাইন ডেস্ক,১৯ এপ্রিল।। হঠাৎই গ্রেটার নয়ডার কিছু স্কুলের ফি অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। অভিনব উপায়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানালেন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের সংগঠন এনসিআর গার্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন এবং নয়ডা এক্সটেনশন ফ্ল্যাট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এই প্রতিবাদে সামিল হয়। অভিভাবকরা স্কুল লাগোয়া ফুটপাথের উপর বসে মানুষের জুতো পালিশ করেন।
মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হয়। বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষক, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ইঞ্জিনিয়ার এবং ডাক্তার আছেন। অভিভাবকদের বক্তব্য হল, করানোর সময় ক্লাস হয়নি। পড়ুয়ারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এই অবস্থায় হঠাৎই ফি বাড়িয়ে দিয়ে অভিভাবকদের ওপর চাপ তৈরি করা হল। অত্যধিক ফি প্রত্যাহার না করা হলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলন করবেন। অভিভাবকরা সাফ জানিয়েছেন, করোনার কারণে তাঁদের অনেকেরই রোজগার কমে গিয়েছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এই অবস্থায় বর্ধিত বেতন দেওয়া তাঁদের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয়।
তাই স্কুল কর্তৃপক্ষকে বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। বেতন বৃদ্ধি করার আগে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রয়োজন বোধ করেননি বলেও অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের একতরফা সিদ্ধান্ত তাঁরা কোনওভাবেই মানবেন না বলে জানিয়েছেন। এনসিআর-এর অভিভাবকদের সংগঠনের সভাপতি সুখপাল সিং বলেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। রাজ্যে চলছে মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। মাফিয়াদের হুমকির মুখে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের একটি নির্দেশের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। সুখপাল বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যোগী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কোনও স্কুলে ফি বৃদ্ধি করতে পারবে না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ হঠাৎই ফি বিপুল পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সংগঠনের দাবি, অবিলম্বে এই বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। এই বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করা না হলে তাঁরা আরও বড় আন্দোলন ও বিক্ষোভ সমাবেশে নামবেন