অনলাইন ডেস্ক,১৯ এপ্রিল।। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তোশাকানা বিতর্কের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন যে উপহারগুলো তার, তাই সেগুলি রাখা বা না রাখা তার পছন্দ।
ক্ষমতাচ্যুত পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, উপহার আমার, সিদ্ধান্ত আমার। তিনি সংসদে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া প্রথম পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী।
গত সপ্তাহে বিষয়টি পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ অভিযোগ করে বলেন, ইমরান খান তার মেয়াদে দুবাইতে তোশাখানার উপহার বিক্রি করেছেন ১৪০ মিলিয়ন রুপি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবর, ইমরান খান তার সাড়ে তিন বছরের মেয়াদে বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকে ১৪০ মিলিয়নেরও বেশি মূল্যের ৫৮টি উপহার পেয়েছিলেন। তিনি সেগুলি সামান্য অর্থ পরিশোধ করে বা বিনামূল্যই পেয়েছিলেন।
এ বিষয়ে খান বলেন, আমি আমার বাসভবনে একজন রাষ্ট্রপতির পাঠানো একটি উপহার জমা দিয়েছিলাম। তোশাখানা থেকে যা নিয়েছি তার দলিল আছে। আমি ৫০% খরচ দিয়ে উপহারগুলো কিনেছি।
তিনি বলেন, আমি যদি অর্থ উপার্জন করতে চাইতাম, আমি আমার বাড়িটিকে ক্যাম্প অফিস হিসাবে ঘোষণা করতাম কিন্তু আমি তা করিনি।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, আমি কিছু বলছি না কারণ পাকিস্তানের একটি শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ সেনাবাহিনী দরকার। আমরা একটি মুসলিম দেশ এবং একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী আমাদের নিরাপত্তার গ্যারান্টার।
তিনি বলেন, রাশিয়া সফরের সময় সেনাবাহিনী জানত এবং সফরের আগে সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে টেলিফোন করেছিলাম। জেনারেল বাজওয়া বলেছেন আমাদের অবশ্যই রাশিয়া সফর করতে হবে।