অনলাইন ডেস্ক,১৯ এপ্রিল।। ফের বড় ধরনের হিংসার ঘটনার সাক্ষী হল আফগানিস্তান। এবার সন্ত্রাসবাদীদের লক্ষ্য ছিল একাধিক স্কুল। মঙ্গলবার হঠাৎই বেশ কয়েকটি স্কুল প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। সূত্রের খবর এদিনের বিস্ফোরণের ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ২০ জনের বেশি। হতাহতেরা বেশিরভাগই স্কুলপড়ুয়া।
কয়েকজন পথচারীও হতাহতের তালিকায় আছেন। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে তালিবান জঙ্গি সরকারের পক্ষ থেকে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা জানানো হয়নি।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম কাবুলের মুমতাজ স্কুল চত্বর থেকে প্রথম বিস্ফোরণের খবর মেলে। কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয় দাস্ত-এ-বারচি এলাকার একটি স্কুলে। আরও একটি স্কুলে এদিন বিস্ফোরণ হয়েছে বলে খবর। তবে কেউ কেউ বলছেন একই স্কুলে তিনবার বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণে মৃতদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এদিনের বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, স্কুল সংলগ্ন এলাকা ভূকম্পনের মত কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই এলাকার আকাশ ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। তীব্র আতঙ্কে মানুষ ছুটোছুটি শুরু করে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, এদিনের বিস্ফোরণে অনেকেই জখম হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক।
এদিনের বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে তালিবান জঙ্গি সরকারের এক মুখপাত্র খালিদ জারদান জানিয়েছেন, একটি হাইস্কুলে এদিন পরপর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। মূলত শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। কাবুলের যে অংশে এই নাশকতার ঘটনা ঘটেছে সেখানে শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। মাঝে মধ্যেই ওই এলাকায় এ ধরনের নাশকতা চালিয়ে থাকে জঙ্গিরা। এবার তাদের নিশানায় ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
অনেকেই মনে করছেন, তালিবান সরকারের সঙ্গে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠী লড়াইয়ের ফল এই নাশকতা। এর আগে ২০২১-এর অগাস্ট মাসে কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠী। অনেকেই মনে করছেন এদিন স্কুলে যে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেটা আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীরই কাজ।