অনলাইন ডেস্ক, ১৩ এপ্রিল।। ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মারিওপোলের এক হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা রুশ সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু ওই দাবি নাকচ করে দিয়েছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ভলোদিমির জেলেনস্কির একজন শীর্ষ উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্টোভিচ বলেন, মেরিন সেনারা আজভ ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। মারিউপোলের এখনো পতন হয়নি।
বরং শহরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেড়েছে এবং আরও শক্তিশালী হয়েছে বলে তিনি এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন।
যদিও শহরটিতে আসলে কী ঘটছে সেটা যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরটি পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। শহরটিতে অবিরাম গোলাবর্ষণ ও বোমাবর্ষণ চলছে বলে স্থানীয় সংসদ সদস্য দিমিত্রো গুরিন বিবিসিকে জানিয়েছে।
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটি রুশ সেনারা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। দীর্ঘদিন রাশিয়ার হাতে অবরুদ্ধ থাকার কারণে দক্ষিণাঞ্চলীয় এই বন্দরনগরীতে ব্যাপক মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। রুশ সেনাদের অনবরত গোলা বর্ষণে শহরটি প্রায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর থেকেই প্রায় পাঁচ লাখ বাসিন্দার মারিওপোল শহরটি দখল করা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটি আজভ সাগরে ইউক্রেনের কৌশলগত বন্দর এবং ডনবাস অঞ্চলে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর কাছেই অবস্থিত।
গত মাসের শেষের দিকে মারিওপোলের শহর কাউন্সিল জানিয়েছিল, রুশ সামরিক অভিযানের কারণে ১ লাখ ৪০ হাজার বেসামরিক মানুষ পালাতে সক্ষম হলেও আরও ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ শহরটিতে আটকা পড়েছেন।
এছাড়া এক মাসের বেশি সময় ধরে রুশ সেনাদের অনবরত হামলায় কৌশলগত এই শহরটি কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ফলে শহরে আটকে পড়া আতঙ্কিত বেসামরিক বাসিন্দাদের অনেকে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। শহরে পানি, খাবার এবং ওষুধের মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।