অনলাইন ডেস্ক, ৮ এপ্রিল।। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ছবি সম্প্রতি আলোড়ন ফেলেছে। ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে, একটি থানায় বেশ কয়েকজন বিনা পোশাকে দাঁড়িয়ে আছেন। জানা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের (MP) সিধি (Sidhi) জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই যথারীতি নেটিজেনরা সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।
ঘটনাটি এতটাই বিতর্কিত হয়েছে যে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ প্রশাসনও নড়েচড়ে বসেছে। ইতিমধ্যেই ডিএসপি হেড কোয়ার্টার গায়ত্রী তিওয়ারিকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।
ভাইরাল হওয়া ছবিতে যাদের বিনা পোশাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাদের মধ্যে ছিলেন কনিষ্ক তিওয়ারি নামে এক সাংবাদিক। ওই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরেই কনিষ্ক একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানেই তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে হুমকি ও অকারণে হেনস্থার অভিযোগ করেছেন।
ওই সাংবাদিকের দাবি, তিনি চিত্রসাংবাদিককে নিয়ে একটি অবস্থান বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লা ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ওই প্রতিবাদ চলছিল। সেসময় কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এরপর জোর করে তাঁকে এবং সহকর্মী চিত্র সাংবাদিককে জোর করে থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে নানা হবে তাঁদের লাঞ্ছনা করা হয়। এমনকী, খুলে নেওয়া হয় তাঁদের পোশাক। থানার পুলিশকর্মীরা জানতে চান কেন তিনি বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে খবর করছিলেন? এভাবেই তাদের থানায় দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।
কনিষ্কের দাবি ২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৮ টা নাগাদ তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও ৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার সময় তাদের থানা থেকে ছাড়া হয়।
জানা গিয়েছে, নীরজ কুন্দর নামে এক নাট্য কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ওই গ্রেফতারির প্রতিবাদে থানার সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ইন্দ্রবতী নাট্য সমিতির সদস্যরা। তাঁরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় কোতোয়ালি থানার পুলিশ অবস্থানরত সকলকেই থানায় ধরে নিয়ে যায়। ওই বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন সাংবাদিক কনিষ্ক। সেসময় তাঁকেও ধরা হয়। এরপর থানায় ধৃতদের সকলের পোশাক খুলে নিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
কনিষ্ক জানিয়েছেন থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার অভিষেক সিং পারিহার তাঁদের ওই ছবিটি তুলেছিলেন। ওই অফিসার হুমকি দিয়েছিলেন, তাঁরা যদি বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এই খবর প্রচার করেন তবে এভাবেই তাঁদের শহরে উলঙ্গ অবস্থায় ঘোরানো হবে। সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মীরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন বলে কনিষ্ক অভিযোগ করেছেন।