অনলাইন ডেস্ক,৭এপ্রিল।। ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল থেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালানো শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। রাশিয়া তার যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু রাজধানী কিয়েভ থেকে পূর্ব ইউক্রেনে সরিয়ে নেওয়ায় সেখানকার মানুষেরা পালাতে শুরু করেছে।
রাশিয়ান বাহিনী পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের শহরগুলোতে গোলা নিক্ষেপ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ডনবাসের অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানছে। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে গতরাতের পুরোটা সময়জুড়েই তীব্র গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।
এছাড়াও লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলের কিছু অংশে আরও কামানের গোলা ছুড়ে হামলা করা হয়েছে। রাশিয়া এখন তার বাহিনীকে ওই অঞ্চলেই পুনরায় সংগঠিত করছে। সামনের দিনগুলোতে সেখানে লড়াই আরও তীব্র আকার ধারন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মতে, রাশিয়া পূর্ব লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলের বোরিভস্কে, নোভোলুহানস্কে, সোলোদকে, মারিনকা এবং জোলোটা ন্যভা-তে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর অবস্থান এবং বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে।
রাশিয়ান বাহিনী মারিওপোলের বিরুদ্ধেও তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শহরটি অবরুদ্ধ করে রেখে বোমাবর্ষণ করছে রুশ সেনারা। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ গোয়েন্দা আপডেটে বলা হয়েছে যে, শহরটির মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘শহরে আটকে পড়া ১ লাখ ৬০ হাজার বাসিন্দার বেশিরভাগের কাছে কোনো আলো, যোগাযোগ, ওষুধ, তাপ বা পানি নেই। রাশিয়ান বাহিনী শহরটিতে মানবিক সহায়তা প্রবেশেও বাধা দিয়েছে। আত্মসমর্পণের জন্য শহরটির ওপর চাপ প্রয়োগ করতেই রাশিয়া এই নিষ্ঠুর পদ্ধতি বেছে নিয়েছে’।
ওদিকে, নিপ্রো শহরের কাছে একটি তেলের ডিপো ধ্বংস এবং মধ্য ইউক্রেনের ভিন্নিতসিয়া অঞ্চলে এবং পশ্চিমে রাদেখিভে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে রুশ সেনারা।