অনলাইন ডেস্ক,৭ এপ্রিল।। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ বিলম্বে হতাশা প্রকাশ করে বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন নতুন ঠিকাদার নিয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পটি ভারতের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি উদ্বোধন করেছেন। এটি উভয় দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণকাজ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রেলপথ নির্মাণে বিলম্বে আমরা দুই দেশই হতাশ। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে যদি আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়, বা থেমে যায় তাহলে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ এনে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করব।
মন্ত্রী জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলেছে, আগামী জুন মাসের মধ্যে রেলট্রেক বসানোর কাজ শেষ করতে পারবে। সিগন্যালিং, স্টেশন বিল্ডিংসহ অন্যান্য কাজ শেষ করতে হয়তো আর একটু সময় লাগবে।
প্রকল্প বিলম্ব হওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ঠিকাদার বলেছে কোভিডের কারণে কাজ শেষ হতে দেরি হচ্ছে। কাগজে-কলমে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজটি শেষ করতে পারলে আমরা খুশি হব। আশা করি ঠিকাদার আমাদের উদ্বেগের কথা বুঝতে পারবে।
বিএসএফ এর বাধায় কসবা ও মন্দাবাগ রেলওয়ে স্টেশনের কাজ বন্ধ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ। ছোটখাটো যে সমস্যা আছে, তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারব। এটা কোন বাধা হবে না।
এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, এটি একটি বড় প্রকল্প। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটির উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রাখছি। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এ প্রকল্পটির ব্যাপারে আমাকে ফোন করেছেন। তো আমরা এ প্রকল্পটির ব্যাপারে খুব চাপে আছি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (কাঠামো) কামরুল আহসান, রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিব আতিকুর রহমান, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কান্ট্রি ডিরেক্টর শারজ শার্মা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়া, ইউএনও রুমানা আক্তার, থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে মন্ত্রী সকালে ঢাকা থেকে আন্তনগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছান।
উল্লেখ্য, আখাউড়া থেকে ভারতের আগরতলা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন। ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন আখাউড়া-আগরতলা রেলপল নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে।