অনলাইন ডেস্ক, ২ এপ্রিল।। ক্ষমতায় এসে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিজেপি সরকার গড়লে বছরে এক কোটি বেকারের চাকরি দেবেন। কিন্তু সরকারের ৮ বছরে কেন্দ্রের বিভিন্ন বিভাগে সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ কমেছে। এটা বিরোধীদের অভিযোগ নয়, বরং কেন্দ্র নিজেই এই কথা জানিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে।
২০১৪ সালে মোদী প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর জমা পড়েছিল সপ্তম বেতন কমিশনের রিপোর্ট। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ২০১৪ সালে দেশে সেনাবাহিনী-সহ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৪৭ লাখ। কিন্তু ৮ বছর পর এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীর সংখ্যা ২৭ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩০ জন। কেন্দ্রের ৭৫ টি মন্ত্রক বিভাগ মিলিয়ে এটাই মোট কর্মচারীর সংখ্যা। যার মধ্যে তপসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায় ভুক্ত কর্মচারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩০১ একজন এবং ২ লাখ ১৪ হাজার ৭৩৮ জন। অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কর্মচারী আছেন ৪ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৮ জন।
তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসিদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি মামলায় পরিসংখ্যান দিয়ে সরকারি কর্মীদের সংখ্যাটি জানিয়েছে কেন্দ্র। পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা বাতিল করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিআর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি দায়ের হয়েছিল।
কেন্দ্র হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনওভাবেই মেধাকে উপেক্ষা করা হয় না। সংশ্লিষ্ট কর্মী বা অফিসারের জন্য নির্ধারিত মেধার মান উত্তীর্ণ হলে তবেই সংরক্ষণের কথা বিবেচনা করা হয়। এই হলফনামা থেকে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, মোদী সরকার চাকরি দেওয়া তো দূরের কথা বরং তাঁদের আমলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ২০ লাখ। শূন্যস্থানে কোনও লোক নিয়োগ করা হয়নি।