রমজানে সজীব ত্বক পেতে চাইলে বাড়তি যত্ন নিতে হবে

অনলাইন ডেস্ক, ২ এপ্রিল।। রোজা রাখলে অনেকের ত্বক পানিশূন্য হয়ে যায়। এ কারণে ত্বকে ব্রণের আধিক্যও বেড়ে যায়। পানির অভাবে আর্দ্রতা কমে গিয়ে ত্বক প্রাণহীন ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার কারণেও ত্বকে ব্রণ অন্য সময়ের চেয়ে বেড়ে যায়। রমজানে সজীব ত্বক পেতে চাইলে বাড়তি যত্ন নিতে হবে। করণীয় জানালেন রূপবিশেষজ্ঞ খালেদা পারভীন সিনথিয়া-

কাঁচা হলুদ ও চন্দন : কাঁচা হলুদের গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ ও চন্দন কাঠের গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের ব্রণ দূর কারার পাশাপাশি ব্রণের দাগ দূর করবে। সপ্তাহে ১ দিন ইফতারের পর এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।

কমলা : সমপরিমাণ কমলা লেবুর খোসা, মসুরির ডাল ও চাল বাটা একসঙ্গে পেস্ট করে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক ব্যবহার করুন সপ্তাহে ২দিন।

চন্দন, মুলতানি মাটি ও নিমপাতা : চন্দনের গুঁড়ো, মুলতানি মাটি ও নিমপাতা বাটা একত্রে মিশিয়ে ত্বকে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বকের সব সমস্যা দূর হয়ে ত্বক থাকবে সতেজ। এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে ৩দিন।

বাদাম : পানিশূন্য ত্বকে নিয়মিত কাঠবাদাম বাটা, ঠা-া দুধ এবং গোলাপ জল দিয়ে তৈরি ফেস প্যাক ব্যবহার করুন। এটি শুষ্ক পানিশূন্য ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

ময়েশ্চারাইজার: যাদের ত্বক শুষ্ক তারা নিয়মিত ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের শুষ্কতা দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক সজীব হবে। যাদের ত্বক সাধারণ বা তৈলাক্ত তারা ওয়াটার বেইজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন আর যাদের ত্বক শুষ্ক তারা ওয়াক্স বা ইমোলিয়েন্ট সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এগুলো ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা জোগানোর পাশাপাশি ত্বক ফেটে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে।

ঠোঁটের যত্ন : রমজানে পানিশূন্যতার কারণে অনেকের ঠোঁট ফেটে যায়। যাদের ঠোঁট ফেটে যায় তারা রাতে ঘুমাবার আগে ঠোঁটে ভালো করে ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে ঘুমাবেন। বেশি শুষ্ক ঠোঁটের যতে্ন হালকা গরম নারিকেল তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচবার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

বি.দ্র : ত্বক ভালো রাখতে ইফতারে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার কম খাবেন। ঘরে তৈরি ইফতার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বাড়িতে বানানো ফলের রস পান করুন ইফতারে। বেশি বেশি ফল, দই, চিঁড়া ও শরবত খান। রমজান মাসেও ইফতার ও সাহরিতে পানীয় জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?