স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২ এপ্রিল।। শিল্পীরা তাদের মনের ভাব শিল্প কলার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন। যা সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। আজ তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব এবং ত্রিপুরা পূর্ণ রাজ্য দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রকলা ও ভাস্কর্য প্রদর্শনী এবং চারদিনব্যাপী কর্মশালার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
উল্লেখ্য, হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত ৪০তম আগরতলা বইমেলায় গত ৩০ মার্চ থেকে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে ৫০ জন চিত্রশিল্পী ও ২৫ জন ভাস্কর্য শিল্পী অংশগ্রহণ করেন। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরও বলেন, বইমেলা হলো ইতিহাস, ভবিষ্যৎ এবং বর্তমানকে জানার মেলা।
নতুন এবং পুরানের সংমিশ্রণে এবারের বইমেলাকে নতুন ভাবনায় আয়োজন করা হয়েছে। বইয়ের মাধ্যমে জ্ঞান আহরণের যে স্পৃহা তা যে গুরুত্ব হারায়নি আজকের বইমেলার নবম দিনে বিশাল জনসমাগমই এর ইঙ্গিত বহন করে। মানুষ বইমেলাতে মুক্ত চিন্তাধারা নিয়ে অংশগ্রহণ করছেন। তা একটি ইতিবাচক দিক।
তিনি আরও বলেন, আগরতলা শহরের পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান রাজ্য সরকারও আগরতলাকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করার জন্য সচেষ্ট রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন সরকারের এই উদ্যোগের ফলে ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরার সুপ্ত প্রতিভাগুলি বহিরাজ্য এবং বিদেশেও সমাদৃত হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস চারদিনব্যাপী এই কর্মশালায় যে সকল শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেছেন তারা আগামীদিনে রাজ্যের শিল্পকলাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব অভিষেক চন্দ্রা, চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অভিজিৎ ভট্টাচার্য, রাজ্য সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সুব্রত চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠান শেষে প্রতীকি হিসেবে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী কয়েকজন শিল্পীর হাতে অতিথিগণ শংসাপত্র ও সাম্মানিক তুলে দেন। পরে তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিধিগণ প্রদর্শনী স্থলটি ঘুরে দেখেন।